1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপানের বাজারে জার্মানির খাবার

১৮ মার্চ ২০১৮

বিশ্বের অনেক দেশের মতো জাপানেও জার্মান কিছু পণ্যের ব্যাপক চাহিদা৷ কিন্তু জার্মান খাবার বলতে গেলে চলেই না৷ এমনকি জার্মান পানীয়েরও খুব সুনাম নেই জাপানে৷ তবে এবার জাপানের খাদ্য মেলায় অন্য ইঙ্গিত মিলেছে৷

https://p.dw.com/p/2uQpe
ছবি: Fotolia/koi88

জাপানের সবচেয়ে বড় খাদ্য এবং পানীয়ের মেলা ফুডেক্স৷ এ মেলায় এ নিয়ে দ্বিতীয়বার অংশ নিলেন জার্মানির সাশা মাগসামেন৷ সাশা ওয়াইন ব্যবসায়ী৷ ভাইনগুট মাইনে ফ্রাইহাইট-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আগে যখন ফেডেক্স-এ গিয়েছেন, কিছুটা মন খারাপ করেই ফিরেছেন৷ সারা বিশ্বের খাদ্য এবং পানীয়ের বাজারে জার্মানি প্রধানত ব্রেড, বিয়ার আর সসেজের জন্য বিখ্যাত৷ কিন্তু জাপানে এসবও খুব ভালো চলে না৷ আর ওয়াইন? এতদিন জাপানের বাজারে ছিল নিম্নমানের সস্তা এবং অতি মিষ্টি এক ধরনের জার্মান ওয়াইনের ছড়াছড়ি৷ ফলে জাপানিদের ধারণা, জার্মান ওয়াইন মানেই বোধহয় মানে খারাপ, দামে সস্তা এবং স্বাদে যাচ্ছেতাই রকমের মিষ্টি একটা কিছু৷

এই ধারণায় পরিবর্তন এনে জাপানে জার্মানির ভালো খাবার এবং পানীয়ের বাজার ভালো করার জন্যই এবারও টোকিওতে পা রেখেছেন সাশা৷ তাঁর আন্তরিক চেষ্টা সুফলও বয়ে আনছে৷ ইতিমধ্যে টোকিও এবং টোকিওর আশপাশের মোট নয়টি রেস্তোরাঁয় দেদার চলছে ভাইনগুট মাইনে ফ্রাইহাইট কোম্পানির ওয়াইন৷ তাঁর কোম্পানির ওয়াইনের জার্মানি তো বটেই, এমনকি জার্মানির বাইরেও কদর আছে৷ তবে সাশা চান এশিয়ার দেশটির মানুষেরাও ভালো জার্মান ওয়াইনের কদর করুক৷ তাই ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং রাশিয়াতেও (ওয়াইন) বিক্রি করি৷ তবে এখন আমি আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের পণ্যের অন্তত ১০ ভাগ এই জাপানেও বিক্রি হবে৷''

সাম্প্রতিক সময়ের কেনাবেচায় সেরকম আশার ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে৷ জাপানে জার্মান পানীয় এবং খাবারের চাহিদা বাড়ছে৷ সাশা জানালেন, গত ২০১৬ সালে জার্মানির কোম্পানিগুলো জাপানে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো, অর্থাৎ ৪৯৩ মিলিয়ন ডলারের খাদ্যপণ্য রপ্তানি করেছে৷ ২০১৭ সালের পরিসংখ্যান এখনো জানা যায়নি৷ টোকিওতে জার্মান দূতাবাসের খাদ্য এবং কৃষি বিভাগের কাউন্সেলর উরসুলা হলৎসহাউজার জানালেন, ২০১৭ সালের প্রথম ছয়মাসে ভালো ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে৷ তাঁর মতে, ‘‘বছরের দ্বিতীয়ার্ধেও অবস্থার অবনতির কোনো কারণ নেই৷''

ইউলিয়ান রায়াল/এসিবি

আপনি কি কোনোদিন জার্মান খাওয়ার খেয়েছেন? লিখুন সেই অভিজ্ঞতা, নীচের ঘরে৷