1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাইবুনাল সংশোধনী

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী জামায়াতে ইসলামীসহ স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী অন্যান্য সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার পথ প্রশস্ত করেছে৷ আর যারা একাত্তরে ওইসব সংঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনা যাবে৷

https://p.dw.com/p/17foW
ছবি: picture-alliance/AP

এই সংশোধনীর ফলে কমান্ড রেসপনসিবিলিটি আদালতের বিচারের আওতায় আসবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷

রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে পাস হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী৷

এই সংশোধনীর কারণে এখন রাষ্ট্রপক্ষ বা বাদীও ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন৷ একই সঙ্গে সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের সংশোধনী প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে শুধু ব্যক্তি নয় যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনেরও বিচার করা যাবে৷ আর একে স্বাগত জানিয়েছেন লেখক এবং যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ শাহরিয়ার কবির৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, এর ফলে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত দল, ব্যক্তি এবং সংগঠন বিচারের আওতায় আসবে৷

তবে তিনি মনে করেন সংবিধানে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেয়ার যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে তা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের ক্ষেত্রে রহিত করা উচিত৷ আর প্রয়োজন সাক্ষী সুরক্ষা আইন৷ ট্রাইবুনালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে৷

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম ডয়চে ভেলেকে বলেন নতুন সংশোধনীর ফলে জামায়াতসহ যেসব সংগঠন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের নিষিদ্ধ করার পথ খুলে গেলো৷

তিনি জানান আর রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অধিকার দেয়ায় এখন কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবিতে আপিল করতে পারবে রাষ্ট্রপক্ষ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য