1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে একজন মুসলিম?

৮ মার্চ ২০১৯

ভবিষ্যতে একজন মুসলমান জার্মানির খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল, সিডিইউর প্রধান এবং চ্যান্সেলর হতে পারেন বলে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন দলটির সংসদীয় দলের নেতা রাল্ফ ব্রিংকহাউস৷

https://p.dw.com/p/3EfTY
ছবি: Getty Images/S. Schuermann

‘আইডিয়া' নামে একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সিডিইউর ভবিষ্যত রাজনৈতিক নেতৃত্বে বা দেশটির ভবিষ্যৎ চ্যান্সেলর হওয়ার বিষয়ে মুসলিমদের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে দলের অনেক নেতার সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি৷ অবশ্য কয়েকজনের সমর্থনও পেয়েছেন ব্রিংকহাউস৷

গতমাসে ‘আইডিয়া'র সাংবাদিক ব্রিংকহাউসের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কোনো মুসলিম রাজনীতিবিদ সিডিইউ'র নেতৃত্বে ও দেশের চ্যান্সেলর সম্ভাবনা আছে কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘যদি কোনো মুসলিম ভালো রাজনীতিবিদ হয় এবং জার্মান সামাজিক মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক দর্শনকে ধারণ করে তাহলে কেন নয়?''

সাক্ষাৎকারটি গত বুধবার জার্মানির প্রভাবশালী দৈনিক ‘বিল্ড'-এ প্রকাশিত হলে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখান অন্যান্য রাজনীতিবিদরা৷

ক্ষুদ্ধ সিডিইউ রাজনীতিবিদরা

সিডিইউর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের সদস্য এলিজাবেথ মোটসমান বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাসই করেতে পারছি না যে, রাল্ফ ব্রিংকহাউস এ ধরণের কথা বলেছেন৷'' মুসলিম রাজনীতিবিদের বিষয়ে ব্রিংকহাউসের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামের মূল্যবোধ আর আমাদের মূল্যবোধের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে৷'' উদাহরণ হিসেবে তিনি জার্মান সমাজব্যবস্থায় নারী ও পুরুষের অধিকার এবং ইসলামে নারী ও পুরুষের অধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করেন৷

সাক্ষাৎকারে ব্রিংকহাউস বলেছেন, নেতৃত্বের বিবেচনায় একজন মানুষের ব্যক্তিগত মূল্যবোধ তাঁর ধর্মীয় মূল্যবোধের চেয়ে বেশিগুরুত্বপূর্ণ৷ ‘‘সিডিইউ কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী নয়৷ আর তাই আমরা ক্যাথলিক চার্চ থেকে ভিন্ন,'' বলেন তিনি৷

তবে তাঁর এ বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন অনেক রাজনীতিবিদ৷ তাঁরা বলছেন, এ ধরণের বিশ্লেষণের সময় দলটির নাম বিবেচনায় রাখা উচিত৷ সিডিউইর সাংসদ এবারহার্ড গিনগার বিল্ড'কে বলেন, দলটির নামের সাথে ‘খ্রিষ্টীয়' কথাটি এমনি এমনি আসেনি৷ এসময় তিনি কোনো মুসলিম রাজনীতিবিদের জার্মান চ্যান্সেলর হওয়ার সুযোগ থাকার বিষয়ে ব্রিংকহাউসের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন৷ একজন মুসলিমের জার্মানির চ্যান্সেলর হওয়ার মানে হলো দেশটিতে মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, যা জার্মানির বাস্তবতা নয়, বলেন তিনি৷

আছে সমর্থনও

জার্মানির মূল রাজনৈতিক দলগুলো ও দেশটির সংবিধান ব্রিংকহাউসের মন্তব্যকেই সমর্থন করে বলে টুইট করেন সিডিইউর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের একমাত্র মুসলিম সদস্য সেরাপ গ্যুলার৷

শ্লেসভিগ-হলস্টাইন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কারিন প্রিয়েন বলেন, দলের প্রধান বা চ্যান্সেলর হতে হলে কেন একজন প্রার্থীকে খ্রিষ্টান হতে হবে, এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট যুক্তি তাঁর জানা নেই৷

তবে কোনো মুসলিম জার্মান চ্যান্সেলর হতে পারেন কিনা এ বিতর্ককে ‘মুর্খতাপূর্ণ তর্ক' বলে মন্তব্য করেছেন সংসদে সিডিইউর জোটসঙ্গী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির উপনেতা রাল্ফ স্টেগনার৷ স্থানীয় দৈনিক জারব্রুকার সাইটুংকে তিনি বলেন, ‘‘একজন মানুষ কীভাবে পরিচিত হবে তা নিয়ে শুধু সিডিইউতেই বিতর্ক চলে৷ জার্মানির প্রকৃত সমস্যা নিয়ে তারা কিছুই করে না৷''

আরআর/জেডএইচ (ডিপিএ, কেএনএ)