1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পত্রিকায় দক্ষিণ এশিয়া

আব্দুল্লাহ আল-ফারুক১৮ জুলাই ২০০৮

জাপানে জি-এইট গ্রুপের শীর্ষবৈঠকের শেষ দিন ভারত আর চীন সহ জি-ফাইভ গ্রুপের উপস্থিতি৷ আফগানিস্তানে জঙ্গী তালেবানের নতুন করে শক্তি সঞ্চয়৷

https://p.dw.com/p/Ef1m
আফগানিস্তানে এখন মার্কিন সৈন্য মারা যাচ্ছে ইরাকের চেয়েও বেশিছবি: AP

জাপানে অনুষ্ঠিত জি-এইট শীর্ষবৈঠকের প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্নটিও ওঠে যে, চীন ও ভারতকে নিয়ে তথাকথিত জি-ফাইভ রাষ্ট্রগুলোকেও এই এক্সক্লুসিভ ক্লাবে ঢোকানো হবে কিনা৷ অর্থর্নৈতিক শক্তিকে যদি মুখ্য মানদন্ড হিসেবে দেখা হয় তাহলে জি-এইট-এর এখনকার এই গঠন ঠিক সময়োচিত নয়, মনে করে বার্লিনের দৈনিক টাগেসস্পিগেল৷ পত্রিকা এই বিষয়টির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দ্বিধা করে নি যে, ভারত ও চীন পূর্ণ সদস্য না হয়েও জি-এইট-এর পরিবেশ সংরক্ষণ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে তাদের প্রভাবেরই পরিচয় রেখেছে৷

একই বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছে সুইজারল্যান্ডের জার্মানভাষী দৈনিক নয় স্যুরশার ত্‌সাইটুং৷ পত্রিকা লিখেছেঃ

বিশ্বের জলহাওয়া নিয়ে গোটা বিতর্ক থেকে এই সত্যটাই শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে জি-এইট-এর গঠনরূপটি কত না সমস্যাকীর্ণ৷ বিশ্বের দুই সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত আর চীন বিগত বছরগুলোতে অর্থনীতির বিকাশের ক্ষেত্রে সাড়া জাগানো অগ্রগতি অর্জন করেছে৷ ফলে শুধু কাঁচামাল ও জ্বালানি ব্যবহারের ওপরেই নয়, গ্রিনহাউস গ্যাস-এর নির্গমনের ওপরেও তারা মৌলিক প্রভাব রাখছে৷ আর তাই শীর্ষবৈঠকের শেষ দিন জি-এইট-এর মর্যাদাময় বৃত্তে পাশের টেবিলেই তাদের স্থান দেওয়া হয়েছিল৷ স্পষ্টতই অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব অর্থনীতির ও নিরাপত্তানীতির বাস্তবতার সঙ্গে আরো ভাল করে খাপ খাইয়ে নেয়া এক নতুন কাঠামোর ব্যাপারে সহমত অর্জন করতেই হবে৷

আফগানিস্তানে এখন মার্কিন সৈন্য মারা যাচ্ছে ইরাকের চেয়েও বেশি৷ তালেবান যোদ্ধারা পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে জোট বাঁধছে৷ এ নিয়ে বার্লিনের দৈনিক টাগেসস্পিগেল লিখছেঃ

জেহাদীরা আবার ফিরে এসেছে৷ বলতে গেলে এমন কোন দিন নেই যে আফগানিস্তানে জঙ্গীরা ভয়ের বীজ ছড়াচ্ছে না, হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে না৷ প্রায় প্রতিদিন মানুষ হিংসাত্মক হামলায় ছিন্নভিন্ন হচ্ছে৷ সংঘর্যে অথবা অতর্কিত হামলায় মারা যাচ্ছে সৈনিকরা৷ এমনকি কাবুলও আর নিরাপদ নয়৷

টাগেসস্পিগেল মনে করে, এই পরিস্থিতির কারণ অবশ্যই খুঁজতে হবে সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানে৷ পত্রিকা লিখছেঃ

কাবুল আর ওয়াশিংটন তালেবানের ফিরে আসার জন্য আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশকেই দায়ী করছে৷ দুর্গম সীমান্ত প্রদেশগুলোতে জঙ্গীদের রয়েছে সন্ত্রাসী শিবির আর গোপন আস্তানা৷ সেখান থেকেই তারা হামলা করছে আফগানিস্তানে৷ পশ্চিমী মহলে এই প্রশ্নও করা হচ্ছে যে পাকিস্তানের নয়া নেতৃত্ব অ্যামেরিকার সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী জোটের এখনও শরিক কিনা৷ ওয়াশিংটন মনে হয় ইসলামাবাদের ব্যাপারে ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে৷

ডি ভেল্ট পত্রিকার রবিবাসরীয় সংস্করণ লিখছেঃ

আফগান-পাকিস্তানী সীমান্ত অঞ্চল ইতিমধ্যে ইসলামাবাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে৷ কিন্তু পাকিস্তানের সরকার দেশের নড়বড়ে ভারসাম্যটাকে নষ্ট করতে বা জঙ্গী ইসলামপন্থীদের প্ররোচিত করতে চায় না৷