1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

৯ মে ২০১৯

জার্মান পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের মানবাধিকার সংস্থা৷ পুলিশের বিরুদ্ধে আফগান এক অভিবাসনপ্রত্যাশীর যৌনাঙ্গে আঘাত করা ও তাঁর গলা চেপে ধরার অভিযোগ এনেছে সংস্থাটি৷

https://p.dw.com/p/3IEaw
ছবি: Imago/M. Trammer

সংস্থাটি জার্মান সরকারকে দেশটির পুলিশের এ ধরনের আচরন থামাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছে৷

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক মানবাধিকার সংস্থা কমিটি টু প্রিভেনশন অব টর্চার (সিপিটি) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘‘যৌনাঙ্গে আঘাত করা ও গলা চেপে ধরার এ ঘটনাটি স্পষ্টতই ব্যাক্তিটিকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, যেটি মাত্রাতিরিক্ত এবং অনুপযোগী আচরণ৷’’

শ্বাস নেওয়ার জন্য লড়ছিল

সিপিটি'র প্রতিবেদনটিতে ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট এক আফগান শরণার্থীর সাথে ঘটা একটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে৷ একটি চার্টার ফ্লাইটে করে সেদিন আফগানিস্তানের ৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেশে পাঠানো হচ্ছিল৷ তাঁদের অভিবাসনের আবেদন কর্তৃপক্ষ নাকচ করে দিলে, তাঁদের নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল৷ নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানটিতে ১০০ পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন৷ পর্যবেক্ষক হিসেবে সিপিটি'র তিনজন প্রতিনিধিও ছিলেন বিমানটিতে৷ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সুষ্ঠুভাবেই করা হচ্ছিল৷ তবে দু'জন অভিবাসনপ্রত্যাশী বিমানে উঠতে অস্বীকৃতি জানান৷ এ সময় পুলিশ তাঁদের হাতে-পায়ে বেড়ি বেঁধে বিমানে ওঠানোর চেষ্টা করে৷ তখন তাঁদের একজন পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি চালিয়ে যান৷ এ সময় একজন পুলিশ সদস্য তাঁর গলায় চাপ দিয়ে ধরলে তিনি শ্বাস কষ্টে ভুগতে থাকেন৷ এদিকে আরেকজন পুলিশ সদস্য তাঁর যৌনাঙ্গে চাপ দিয়ে তাঁর পা চেয়ারের সাথে বেঁধে ফেলে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়৷

ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

প্রতিবেদনটিতে সিপিটি জানায়, কাউকে বল প্রয়োগের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবশ্যই স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা উচিত৷ বল প্রয়োগের সময় এ ধরনের পদ্ধতির ব্যবহার থামাতে জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি৷ জার্মান সরকার জানিয়েছে, সংস্থাটির সুপারিশমালা ইতোমধ্যে পুলিশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে৷

পুনর্বাসনের সময় বাড়ানোর দাবি

প্রতিবেদনটিতে সিপিটি জানায়, অভিবাসনের আবেদন নাকচ করার পর তড়িঘরি করে আশ্রয়প্রার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত৷ সংস্থাটি বলছে, আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দেশে ফেরত যাবার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে সময়ের প্রয়োজন হয়৷ আবেদন নাকচ হওয়ার পরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিতে কখনো কখনো এক সপ্তাহেরও কম সময় দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে সংস্থাটি৷

আরআর/জেডএইচ (এএফপি, এপি, ডিপিএ)