1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি, ইইউ-ও গাজায় সাহায্য বন্ধ করার পথে?

৩০ জানুয়ারি ২০২৪

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার সদস্যরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন, এমন অভিযোগে অ্যামেরিকা বা জার্মানি সাহায্য স্থগিত রাখলেও, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি৷

https://p.dw.com/p/4bphT
অ্যামেরিকা ও জার্মানির পর এই ইউএনআরডাব্লিউএ-কে সবচেয়ে বেশি মূল্যের সাহায্য পাঠায় ইইউ৷
গাজা উপত্যকায় কর্মরত ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবরের হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে (ফাইল ফটো)ছবি: picture alliance/dpa/APA/ZUMA Press Wire

অ্যামেরিকা ও জার্মানির পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও যদি সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে, সেক্ষেত্রে গাজা উপত্যকায় এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে৷ ইইউ কোনো সিদ্ধান্ত নেবার আগে তদন্ত করছে৷ কারণ, গাজা উপত্যকায় কর্মরত ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবরের হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷

ইতিমধ্যে, বেশ কয়েকটি পশ্চিমা রাষ্ট্র জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন  রিফিউজিস (ইউএনআরডাব্লিউএ)-র জন্য নির্দিষ্ট সাহায্য পাঠানো বন্ধ রেখেছে৷

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তহবিল ব্যবস্থাপক সংস্থা ইউরোপিয়ান কমিশন সোমবার একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে৷ সেখানে বলা হয়, ‘‘জাতিসংঘের তদন্ত শেষ হওয়ার পর, সেই তদন্তের আলোকে সাহায্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখব আমরা৷'' 

গাজায় ত্রাণ পাঠানোর কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে সাইপ্রাস

অ্যামেরিকা ও জার্মানির পর এই ইউএনআরডাব্লিউএ-কে সবচেয়ে বেশি মূল্যের সাহায্য পাঠায় ইইউ৷ ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় আগের তুলনায় চারগুণ বেশি সাহায্য পাঠিয়ে আসছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন৷

গাজা উপত্যকায় পরিস্থিতি রীতিমতো আশঙ্কাজনক, সেখানে বর্তমানে চরম অনাহারই দৈনন্দিনের বাস্তবতা৷ এই অবস্থায় সাহায্য বন্ধ করলে যে বিপদ আসবে, সেবিষয়ে সতর্ক করেছে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা ও জাতিসংঘ৷ এর আগে, ইউরোপিয়ান কমিশন বলেছিল, ‘‘গাজা ও পশ্চিম তীরে সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে পাঠানো মানবিক সাহায্য অব্যাহত থাকবে৷''

যে কারণে স্থগিত সাহায্য

ইউএনআরডাব্লিউএ ফিলিস্তিন অঞ্চলে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী নিযুক্ত করেছে, যার মধ্যে ১৩হাজার কর্মী বর্তমানে গাজায় কাজ করছেন৷ গত সপ্তাহে, ইসরায়েল ১২জন কর্মীর বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবরের হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ আনে৷

অভিযুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ গণপরিসরে না এলেও জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা ১২জনের মধ্যে নয়জনের সাথে চুক্তি ছিন্ন করেছে ও অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে৷ অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যে মারা গেছেন ও বাকি দুই অভিযুক্তের পরিচয় যাচাই করছে জাতিসংঘ, জানালেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস৷

ইউরোপিয়ান কমিশন বলছে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাড়াহুড়ো করবে না তারা৷ মুখপাত্র এরিক মামের বলেন, ইউএনআরডাব্লিউএ'র জন্য বরাদ্দ ৮২ মিলিয়ন ইউরো সাহায্য অন্য কোনো সংস্থাকে দেওয়া হবে কিনা, তা এখন বলা যাচ্ছে না৷

সোমবার পর্যন্ত ইইউ-সদস্য রাষ্ট্র যেমন, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইটালি, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও অ্যামেরিকাসহ মোট ১১টি দেশ জাতিসংঘকে গাজার উদ্দেশ্যে সাহায্য পাঠানো থেকে বিরত থাকবে বলে জানিয়েছে৷ কিন্তু এই বিষয়টিও বিভক্ত করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে৷

স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও লুক্সেমবুর্গ জানিয়েছে যে তারা সাহায্য পাঠানো চালু রাখছে৷ নরওয়ে ইউ-সদস্য না হলেও জানিয়েছে যে, তারাও সাহায্য পাঠাবে৷

গাজার জনতার ওপর প্রভাব

জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস ১১টি রাষ্ট্রের নেতাদের তাদের সিদ্ধানতে পুনর্বিবেচনা করবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ বার্তাসংস্থা এপি ইউএনআরডাব্লিউএ'র মুখপাত্র জুলিয়েট টুমার সূত্রে জানায় যে, যেভাবে ইসরায়েল গাজাতে সাহায্য আসার পথ বন্ধ করেছে, তা চললে ইউএনআরডাব্লিউএ এই অঞ্চলে ফেব্রুয়ারির পর আর সাহায্য পাঠাতে পারবে না৷

বর্তমানে, এই সংস্থাটিই গাজায় একমাত্র সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা, যাদের পরিচালিত শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন গাজার ১৭ লাখ ঘরছাড়া মানুষ৷

এলা জয়নার (ব্রাসেলস)/এসএস