1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে এএফডির প্রতি সমর্থন বাড়লো

২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জার্মানিতে এই রবিবারে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জার্মানির জন্য বিকল্প বা এএফডি বলে পরিচিত অভিবাসনবিরোধী দলটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাবে বলে এক জরিপ বলছে৷ গতবছরের নির্বাচনে তারা তৃতীয় বৃহত্তম দল হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/35I3Q
ছবি: Getty Images/S. Gallup

সরকারি প্রচারমাধ্যম এআরডি ‘ডয়েচলান্ডট্রেন্ড’ নামে একটি জরিপ পরিচালনা করে৷ এই সময় উত্তরদাতাদের কাছে যে প্রশ্নগুলো জানতে চাওয়া হয় তার একটি হচ্ছে, আগামী রবিবার নির্বাচন হলে আপনি কাকে ভোট দেবেন?

জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এএফডি দল ১৮ শতাংশ ভোট পাবে৷ অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বরে যে সবশেষ জরিপটি হয়েছিল তার চেয়ে দুই শতাংশ ভোট বেশি পাবে তারা৷ আর জোট সরকারের অংশীদার এসপিডি দল পাবে ১৭ শতাংশ ভোট৷ অর্থাৎ এএফডির চেয়ে তারা কম ভোট পাবে৷ সেই হিসেবে, রবিবার নির্বাচন হলে এএফডি দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হবে বলে জরিপ বলছে৷ প্রথম হবে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জোট সিডিইউ/সিএসইউ৷ তারা পাবে ২৮ শতাংশ ভোট, যা ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া এই জরিপে সিডিইউ/সিএসইউর সবচেয়ে খারাপ ফল৷

সবশেষ জরিপে সিডিইউ ও এসপিডির ভোট কমায় লাভবান হয়েছে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত অভিবাসনবিরোধী দল এএফডি৷ গত সংসদ নির্বাচনে তারা ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল৷

জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা প্রধান হান্স গেয়র্গ মাসেনকে নিয়ে সম্প্রতি জোটের অংশীদার দুই দল সিডিইউ ও এসপিডির মধ্যে বিভাজন দেখা গেছে৷ মাসেনের বিরুদ্ধে ডানপন্থি মতাদর্শের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল৷ এই অবস্থায় তাঁকে গোয়েন্দা প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আরো বেশি বেতনের পদে বসানোয় ম্যার্কেল সরকার সমালোচনায় পড়েছে

এই ঘটনায় জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফারের জনপ্রিয়তা অনেক কমে গেছে৷ কারণ, মাসেনের প্রতি তিনি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে গেছেন৷ ফলে এখন মাত্র ২৮ শতাংশ ভোটার মনে করছেন, সেহোফার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকতে পারেন৷ অথচ গত এপ্রিল মাসের জরিপে ৩৯ শতাংশ ভোটার সেহোফারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)