1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

৮ জুলাই ২০২১

সামান্য হলেও জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার আবার বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ ডেল্টার মোকাবিলা করতে টিকাদান কর্মসূচির গতি আরও বাড়ানোর ডাক শোনা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3wCFg
ছবি: Robin Utrecht/dpa/picture alliance

টানা প্রায় দুই মাস ধরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ লাগাতার কমে চলার পর জার্মানিতে সংক্রমণের হার আবার সামান্য হলেও বেড়েছে৷ সেইসঙ্গে আক্রান্তদের মধ্যে ছোঁয়াচে ডেল্টা সংস্করণের অনুপাতও বাড়ছে৷ কমপক্ষে ৫৯ শতাংশ এই ভেরিয়েন্টের কারণে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রবার্ট কখ ইনস্টিটিইট৷ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের গড় সাপ্তাহিক হার আপাতত পাঁচ দশমিক এক৷ অর্থাৎ মাত্র এক দিনের মধ্যে সেই হার শূন্য দশমিক দুই শতাংশ বেড়েছে৷

এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিয়ম পুরোপুরি প্রত্যাহার করার ডাক সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান৷ তার মতে, করোনা টিকা কর্মসূচির গতির উপরে এমন পদক্ষেপ নির্ভর করবে৷ তবে আগামী আগস্ট মাসে টিকার দুটি ডোজ পাওয়া মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট হবে না বলে তিনি মনে করেন৷ ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে টিকাপ্রাপ্তদের অনুপাত শীঘ্রই প্রায় ৯০ শতাংশ ছুঁলেও যথেষ্ট সংখ্যক কমবয়সিদের টিকার আওতায় আনতে তিনি জোরালো প্রচার অভিযানের ঘোষণা করেন৷ এই বয়সের কমপক্ষে ৮৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিলে তবেই কার্যকরভাবে ডেল্টা সংস্করণেরমোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ৷ সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে হেমন্ত কালের মধ্যে বিধিনিয়ম আরও শিথিল করা যাবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পান৷

এর আগে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস ও অন্যান্য কিছু মহল থেকে আগস্ট মাসেই করোনা সংক্রান্ত বিধিনিয়ম প্রত্যাহারের জন্য চাপ আসছিল৷ মাস বলেছিলেন, সব মানুষ টিকা নেবার সুযোগ পেলেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পান অবশ্য মনে করিয়ে দেন, যে টিকাদানের বর্তমান গতির পরিপ্রেক্ষিতে আগস্ট মাসের মধ্যেই সব মানুষ টিকার দুটি ডোজ পাবেন না৷

জার্মানিতে প্রায় ৫৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ ও প্রায় ৪০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেলেও বর্তমানে টিকাদান কর্মসূচির গতি অনেকটা কমে গেছে৷ ফলে আরও বেশি মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে অপ্রচলিত উপায় নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে৷ শুধু ভ্যাকসিনেশন সেন্টার, ডাক্তারের চেম্বার ও অফিসের ডাক্তারদের কাছে টিকা সীমাবদ্ধ না রেখে সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার ডাক বাড়ছে৷ বিশেষ করে যে সব মানুষ নানা কারণে এখনও টিকা নেবার বিষয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন, তাদের আস্থা অর্জন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে নানা মহাল৷ এমনকি প্রণোদনার মাধ্যমে বিষয়টিকে আকর্ষণীয় করে তোলার পরামর্শ শোনা যাচ্ছে৷ জার্মানির অনেক শহর ও জেলা কর্তৃপক্ষ ঘনবসতিপূর্ণ ও সামাজিকভাবে অবহেলিত এলাকায় মোবাইল ভ্যাকসিনেশন টিম পাঠিয়ে আরও বেশি মানুষকে টিকা দেবার উদ্যোগ নিচ্ছে৷

ডেল্টার থাবা ও টিকাদান কর্মসূচির ধীর গতির প্রেক্ষিতে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্বের মতো সহজ অথচ কার্যকর পদক্ষেপ আরও কিছুকাল চালিয়ে যাবার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা৷ অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ তুলে ধরে একজন বিশেষজ্ঞ মনে করিয়ে দিয়েছেন যে বিমানের পাইলট ও কর্মীদের একজন মাস্ক না পরে শপিং মলে প্রবেশ করায় অনেক মানুষ কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)