1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিকা কর্মসূচিতে গতি আনতে বিশেষ উদ্যোগ

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

সপ্তাহব্যাপী প্রচার ও সহজে করোনা টিকা নেবার ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও বেশি মানুষকে টিকা দেবার চেষ্টা শুরু হচ্ছে৷ কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিয়ে মহামারির চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলার চেষ্টা চলছে৷

https://p.dw.com/p/40F9y
Deutschland Hochwasser Katastrophe Ahrweiler Coronavirus Impfbus
ছবি: Christian Mang/REUTERS

অন্যান্য অনেক শিল্পোন্নত দেশের মতো জার্মানিতেও করোনা টিকা কর্মসূচি থমকে গেছে৷ প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ টিকার প্রয়োজনীয় ডোজ পাবার পর নতুন করে অনাগ্রহী, অলস, সংশয়ী অথবা কট্টর টিকা-বিরোধীদের কিছুতেই এই কর্মসূচির আওতায় আনা যাচ্ছে না৷ লাল ফিতের ফাঁস ছাড়াই শহরের কেন্দ্রস্থলে মোবাইল ভ্যানে করোনা টিকার ‘ওয়াক ইন'  ব্যবস্থা সত্ত্বেও কর্মসূচির গতি বাড়ছে না৷ অথচ বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা আসন্ন শীতের মাসগুলির আগে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও বেশি মানুষকে টিকা দেবার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছেন৷ কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ মানুষ সব প্রয়োজনীয় ডোজ পেলে তবেই চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন৷ উল্লেখ্য, জার্মানিতে বর্তমানে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের গড় বার প্রায় ৮২ ছুঁতে চলেছে৷ হাসপাতালে ভর্তি করোনায় আক্রান্ত মানুষের প্রায় কেউই টিকা নেন নি৷

সেই লক্ষ্য পূরণ করতে সোমবার থেকে গোটা দেশে নতুন এক প্রচার অভিযান শুরু হচ্ছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ‘এখানে টিকা দেওয়া হচ্ছে' হ্যাশট্যাগ সম্বল করে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে৷ একটি ওয়েবসাইটেই দেশের সব টিকাকেন্দ্রের হদিস পাওয়া যাবে৷ এর আওতায় এক সপ্তাহ ধরে শপিং মল, লাইব্রেরি, মসজিদ থেকে শুরু করে মানুষের সমাগম হয় এমন অসংখ্য জায়গায় বিনা অ্যাপয়েন্টমেন্টে ও বিনামূল্যে করোনা টিকা নিতে পারবেন৷ স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে সহজেই সেই সুযোগ পাওয়া যাবে৷ সাপ্তাহিক প্রচার অভিযানের শেষেও সে সব জায়গায় টিকা নেবার ব্যবস্থা রাখা হবে৷ জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার সোমবার বার্লিনের একটি স্কুলে গিয়ে টিকা কর্মসূচির অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন৷

বিদায়ী জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রবিবার সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, এর আগে এত সহজ ও দ্রুত গতিতে করোনা টিকা পাওয়ার সুযোগ ছিল না৷ জার্মানির প্রায় পাঁচ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেবার সাফল্য তিনি এ প্রসঙ্গে তুলে ধরেন৷ অবশিষ্ট মানুষদের উদ্দেশ্যে তিনি আত্মরক্ষা ও অন্যদের রক্ষার স্বার্থে করোনা টিকা নেবার ডাক দেন৷

এদিকে ১২ বছরের কমবয়সিদের জন্যও করোনা টিকা প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে বায়োনটেক কোম্পানি৷ কোম্পানির দুই প্রতিষ্ঠাতা উগুর শাহিন ও ওজলেম ত্যুরেচি জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসের শেষেই পাঁচ থেকে এগারো বছর বয়সিদের উপর এই টিকার প্রভাব সংক্রান্ত তথ্য পেশ করা হবে৷ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় টিকার ডোজ এক-তৃতীয়াংশ রেখে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে৷ চলতি বছরের শেষের আগেই আরও ছোট শিশুদের উপর করোনা টিকা প্রয়োগ সংক্রান্ত তথ্যও পেশ করা হবে বলে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন৷ সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন ও অনুমতি পেলেই টিকা দেবার কাজ শুরু হতে পারে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)