1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে গাঁজার চাহিদা বাড়ছে

১০ মার্চ ২০১৯

চিকিৎসার প্রয়োজনে দুই বছর হলো জার্মানিতে রোগীরা বৈধভাবে গাঁজা সংগ্রহ করতে পারছেন৷ এই অনুমোদনের পর দেশটিতে গাঁজার চাহিদা ব্যাপকহারে বেড়েছে৷ ফলে ব্যবসার বড় সম্ভাবনা দেখছে বিদেশি কোম্পানিগুলো৷

https://p.dw.com/p/3EgHZ
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/AP Images/R. Vogel

জার্মানির স্বাস্থ্য খাতের জন্য সিদ্ধান্তটি বেশ বিতর্কিতই ছিল৷ ২০১৭ সালের ১০ মার্চ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীদের গাঁজা সংগ্রহের অনুমতি দেয় সরকার৷ এরপর থেকেই এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে৷

ডাক্তার, ফার্মেসি আর  স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানিগুলো এই চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ কেননা চাহিদা অনুযায়ী দেশটিতে গাঁজার সরবরাহ নেই৷ এই পরিস্থিতিই এখন ব্যবসার বড় দুয়ার খুলে দিয়েছে গাঁজা সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য৷ মূলত নেদারল্যান্ডস আর ক্যানাডার প্রতিষ্ঠানগুলোর নজর এখন জার্মানির দিকে৷ 

ক্যানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান টিলরে জার্মানির সব ফার্মেসিতে খুব শিগগিরই গাঁজার ফুল সরবরাহ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে৷ অন্যদিকে ডাচ প্রতিষ্ঠান নুভেরা বলেছে, কয়েক লাখ রোগীর কাছে গাঁজা সরবরাহের জন্য জার্মানিকে তারা গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে বিবেচনা করছে৷ জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে ঔষধ হিসেবে গাঁজা রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলও৷ দেশটিতে গাঁজার চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ২০০ টি গবেষণা চলমান রয়েছে৷

স্বল্প আর্দ্রতা আর উপযুক্ত আবহাওয়ার কারণে ইসরায়েলে গাঁজা চাষও ভাল হয়৷ ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, প্রতি বছর সেখানে ১৮ টনের বেশি ঔষধি গাঁজা উৎপাদন হয়৷ দেশটির অন্যতম ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান প্যানাক্সিয়ার প্রধান দাদি সেগাল জানান, ইসরায়েল থেকে আমদানি করতে আগ্রহী এমন বেশ কিছু জার্মান প্রতিষ্ঠানের সাথে তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন৷

দুই বছর আগে উন্মুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে প্রায় ১,০০০ জন ঔষধি গাঁজা ব্যবহার করতেন৷ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্মান অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিস্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফার্মেসিগুলো গেল বছর ৯৫,০০০ প্রেসক্রিপশন-এর আওতায় ১,৪৫,০০০ ইউনিট গাঁজার ঔষধ ও অপ্রক্রিয়াজত ফুল সরবরাহ করেছে৷ ২০১৭ সালের চেয়ে তা ১০ গুণ বেশি৷

সরকারি পরিসংখ্যান না থাকলেও জার্মানিতে গাঁজার ঔষধের চিকিৎসা নেন এমন রোগীর সংখ্যা এখন প্রায় ১৫ হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ কিন্তু সেই অনুযায়ী সেখানে গাঁজার উৎপাদন বৃদ্ধির মতো যথেষ্ট রাজনৈতিক উদ্যোগ নেয়া হয়নি

ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর ড্রাগস অ্যান্ড মেডিক্যাল প্রোডাক্টস এখন চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য ১০.৪ টন গাঁজা উৎপাদনের অনুমতি দেয়ার নিলাম আহবান করতে যাচ্ছে৷ কর্তৃপক্ষের আশা ২০২০ সালের শেষ নাগাদ জার্মানিতে প্রথম গাঁজার চাষ শুরু হবে৷

এফএস/জেডএইচ (ডিপিএ)