জার্মানিতে পেশাগত প্রশিক্ষণ
জার্মানিতে পেশাগত প্রশিক্ষণের বেশ নামডাক রয়েছে৷ তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা কিভাবে তাদের ভবিষ্যৎ পেশার জন্য নিজেদের তৈরি করে তারই কিছু নমুনা পাবেন এই ছবিঘরে৷
বিশেষভাবে তৈরি করা
ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ যে বিষয়েই নিন না কেন, মনে রাখতে হবে তা যেন যুগের প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত হয়৷ এমন কিছু হয়, যে পেশার চাহিদা আছে সমাজে৷ এবং যে পেশায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করারও সুযোগ থাকে৷ সেভাবেই কিছুটা বুঝে-শুনে এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজের পছন্দের পেশাকে বেছে নেওয়া প্রয়োজন৷
ঘড়ি তৈরি
ঐতিহ্যগতভাবে ঘড়ি তৈরি বা ঘড়ি মেরামতের কাজও আজকের যুগে প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়৷ আর এই কাজটি অত্যন্ত নিপুণভাবে করতে হয়৷ ছবিতে মেয়েটিকে ঘড়ি তৈরির কাজে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যাচ্ছে৷
বাড়ির ছাদে টালি বসানো
জার্মানিতে যে কোনো বাড়ির শুধু ছাদে টালি বসানো নয়, ছাদের যে কোনো কাজ করার জন্য রয়েছে আলাদা মানুষ, আলাদা মিস্ত্রি৷ এবং তাঁরা শুধু এই কাজটিই করে থাকেন৷ এই কাজের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণও নিতে হয়৷
নাপিত
অনেক রকম পেশা আছে যেগুলো আগে শুধু পুরুষরাই করতো৷ আস্তে আস্তে এ অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে৷ তবে কিছু কিছু চাকরি আজও আছে যেগুলো নারীরাই বেশি করেন৷ নাপিতের চাকরিটিও সেরকমই একটি, যা মেয়েরাই বহুদিন থেকে করে আসছেন৷
ধাত্রী
বাচ্চা প্রসব করানোটাও এমন একটি চাকরি যা মেয়েদের জন্যই বরাদ্দ করা রয়েছে৷ জার্মানিতে এ কাজের জন্য তিন বছর প্রশিক্ষণ নিতে হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে তিনি হাসপাতালে চাকরি পান৷ অবশ্য কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে ধাত্রীর কাজ করতে চান, সেটাও সম্ভব৷ এখানে কয়েকজন ধাত্রীবিদ্যার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷ ট্রেনিং-এর সময় শিশুর পরিবর্তে পুতুল দিয়ে প্রসবকালীন নিয়মগুলো শেখানো হয়৷
কাঠমিস্ত্রি
জার্মানিতে অনেকেই কাঠমিস্ত্রির প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন, কারণ একাজে বেশ ভালো আয় করা সম্ভব৷ শুধু কাঠমিস্ত্রি নয়, জার্মানিতে যে কোনো কাজের মিস্ত্রির ক্ষেত্রেই একথা প্রযোজ্য৷ চাকরি পেতেও মিস্ত্রিদের তেমন বেগ পেতে হয় না জার্মানিতে৷ বিভিন্ন ছোট-বড় ফার্নিচারের দোকানে সব সময়ই কিছু কাঠমিস্ত্রি থাকেন৷
কসাই বা ‘মিট কাটার’
মাংস কাটার জন্যও জার্মানিতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে৷ প্রায় সব ধরণের হাতের কাজের জন্যই জার্মানিতে রয়েছে প্রশিক্ষণের স্কুল৷ ছবিতে একজন কসাইয়ের কাছে ছাত্ররা মাংস কাটার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে৷
প্রশিক্ষণ স্কুল
এই স্কুলে বিভিন্ন পেশার জন্য নানা রকম তত্ত্বগত শিক্ষা দেওয়া হয় এবং পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলে পাঠানো হয় ‘প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস’-এর জন্য৷ সাধারণত এসব প্রশিক্ষণ দুই থেকে চার বছরের মধ্যে হয়ে থাকে৷ কোনো ধরণের প্রশিক্ষণ ছাড়া জার্মানিতে তেমন কোনো চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়৷ কারোর একটি প্রশিক্ষণ থাকলে, তাঁর জন্য চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়৷