1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে বিপদ মোটেই কাটেনি: ম্যার্কেল

২৩ এপ্রিল ২০২০

করোনা সংকট মোকাবিলা করতে সরকারের নীতিমালা সম্পর্কে সংসদে বক্তব্য রাখলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ অর্জিত সাফল্য সত্ত্বেও বিপদের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3bIQd
Angela Merkel Rede an die Nation zur Corona-Krise Berlin Bundestag
ছবি: Reuters/A. Hilse

বৃহস্পতিবার সকালে জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষে সরকারের নীতিমালা তুলে ধরে ম্যার্কেল বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এমন পরিস্থিতি দেখেনি৷ রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিতে হয়েছে৷ করোনা সংকটের মোকাবিলা করতে অকল্পনীয় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে৷ এসব উদ্যোগ দ্রুত অনুমোদন করার জন্য তিনি সংসদের উভয় পক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷ তিনি স্বীকার করেন যে, সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ছাড়া এমন প্রচেষ্টা কখনোই সফল হতো না৷ মানুষের অনেক মৌলিক অধিকার খর্ব করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য কতটা কঠিন ছিল, তা মনে করিয়ে দেন ম্যার্কেল৷

মতবিরোধ ভুলে গোটা দেশে ব্যাপক সহযোগিতার দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ তাঁর মতে, সংযম, নিয়মানুবর্তিতা ও সংহতির মাধ্যমে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের গতি যথেষ্ট কমানো সম্ভব হয়েছে৷ তবে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, সাফল্য সত্ত্বেও জার্মানি এখনো মহামারির প্রথম পর্যায়ে রয়েছে৷ তাই অর্জিত সাফল্য নষ্ট করে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যাবার বিষয়ে সতর্ক করে দেন তিনি৷ তাঁর মতে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে অদূর ভবিষ্যতেও অনেক কড়াকড়ি মেনে নিতে হবে৷ ধাপে ধাপে কিছু বিধিনিয়ম শিথিল করা হলেও সার্বিকভাবে কড়াকড়ি মেনে চলতে হবে৷

করোনা সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বও তুলে ধরেন ম্যার্কেল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন তিনি৷ বৃহস্পতিবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে জার্মানির অবস্থান বুঝিয়ে বলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷

এদিকে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনার পর মহাজোট সরকারের শরিক দলগুলি আরো কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে৷ মূলত অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকার৷ বৃহস্পতিবার সংসদে ম্যার্কেল সেগুলিরও উল্লেখ করেন৷

নতুন এই উদ্যোগের আওতায় সাধারণ মানুষ ও শিল্পবাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ যে সব কর্মীরা উদ্বৃত্ত হয়ে পড়েছেন, তাদের বেতন মেটাতে সরকারি ভরতুকির অঙ্ক ও মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার৷ তাছাড়া শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের লোকসান সামাল দিতে কর কমানো হবে৷ ক্যাফে-রেস্তোঁরার আয় প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই শাখাকে সাহায্য করতে ভ্যাটের হারও কমানো হবে৷ স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনার ক্ষতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার কেনার জন্য ১৫ কোটি ইউরো ব্যয় করবে সরকার৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ)