1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হত্যাযজ্ঞের আশঙ্কা বাড়ছে

২৬ জুলাই ২০১২

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে প্রেক্ষাগৃহে গোলাগুলির ঘটনার পর জার্মানিতেও এই নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে৷ সম্প্রতি এক সমীক্ষা সেই আশঙ্কা যেন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ অন্যদিকে কলোরাডোর হতাকাণ্ডের পর মার্কিন মুল্লুকে বন্দুক বিক্রি আরও বেড়েছে৷

https://p.dw.com/p/15eXB
ছবি: AP

জার্মানিতে তিন বছর আগে স্কুলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিলো, যাতে প্রাণ হারিয়েছিলো অনেকে৷ পশ্চিমা দেশগুলোতে এরকম ঘটনা মাঝে মধ্যেই দেখা দেয়৷ জার্মানিও তার খুব একটা ব্যতিক্রম নয়৷ তবে বাডেন ভুটেমব্যার্গ রাজ্যের ভিনেন্ডেন এলাকার সেই স্কুলের ঘটনার পর আর কোন ঘটনা ঘটেনি৷ এরপরও বিশেষজ্ঞরা আতঙ্কিত, কারণ স্কুলগুলোতে অহরহ এমন ঘটনার হুমকি ধামকি ঘটে চলেছে৷ সাম্প্রতিক কোলন ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় বেশ ভয়াবহ তথ্যই বের হয়ে এসেছে৷ এতে দেখা গেছে, স্কুলগুলোতে অনেক ছাত্রই তাদের সহপাঠীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়৷ এমনকি গুলি করারও হুমকি দিচ্ছে প্রায়ই৷ গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে এই ধরণের ২,৬০০ ঘটনা তারা চিহ্নিত করেছেন৷ বর্তমানেও অনেক স্কুলে এই ধরণের ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে, যা শিক্ষক এবং একইসঙ্গে অভিভাবকদের আতঙ্কিত করে তুলেছে৷

সংশ্লিষ্টরা যেকোনভাবে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে চান৷ বাডেন ভুটেমব্যার্গ রাজ্যের কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলোতে ছাত্র পরামর্শ কেন্দ্রগুলোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে৷ আগামী তিন বছরের মধ্যে স্কুলগুলোতে মনোচিকিৎসকের সংখ্যা তিনগুণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ বার্লিন এবং থুরিংগেন রাজ্য শিক্ষক এবং অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যাতে কোন ছাত্র এই ধরণের ঘটনার ঘটানোর আগেই তারা সেটা চিহ্নিত করতে পারেন৷ দেখা গেছে, যেসব ছাত্র সহিংস ভিডিও গেমসে আসক্ত তাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি৷

Deutschland Amoklauf Winnenden Tatwaffe
জার্মানিতে তিন বছর আগে স্কুলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিলো, যাতে প্রাণ হারিয়েছিলো অনেকেছবি: AP/Reproduktion: Daniel Roland

প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্কুলগুলোতে নিরাপত্তাও বাড়ানো হচ্ছে৷ তবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত করে তুলতে পারে সেই শঙ্কাও রয়েছে৷ যেমন বলা হয়েছিলো, ছাত্রছাত্রীদের চিপ কার্ড নিয়ে স্কুলে ঢুকতে হবে, তবে আপত্তির মুখে সেই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়৷ শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুলে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে৷ তবে অনেক স্কুলে অ্যালার্ম সিস্টেম চালু করা হয়েছে৷ এইসব সতর্কীকরণ যন্ত্রের মাধ্যমে সরাসরি পুলিশকে জানানো হবে৷ স্কুলগুলোর ভবনগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন রং দেয়া হয়েছে, যাতে করে পুলিশ সহজেই রাস্তা চিনতে পারে৷ অনেক স্কুলের কর্মকর্তা কর্মচারিদের হাতে রয়েছে পেজার যন্ত্র৷ এছাড়া স্কুলগুলোতে ভিডিও ক্যামেরা বসানোর কথা বলা হলেও সেটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ার জন্য আর করা হয়নি৷

এদিকে কলোরাডোর হত্যাকাণ্ডের পর গোটা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র আইন নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও তার উল্টো ফল দেখা যাচ্ছে৷ গত কয়েকদিনে দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বরং বেড়ে গেছে৷ কলোরাডোতে যেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তার কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় তিন হাজার মানুষ নতুন করে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার জন্য আবেদন করেছে৷ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এর পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে শতকরা ২৫ ভাগ বেশি৷ কেবল কলোরাডোতেই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য জায়গাতেও আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কলোরাডোর এক প্রেক্ষাগৃহে ২৪ বছর বয়েসি জেমস হোমসের গুলিতে ১২ জন নিহত হয়৷ আহত হয় আরও ৫৮ জন৷

প্রতিবেদন: ভোল্ফগাং ডিক / আরআই (এপি)

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য