1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির বড় শহরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

৯ অক্টোবর ২০২০

বার্লিন, ফ্রাংকফুর্ট ও মিউনিখের মতো শহরে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলায় জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল মেয়রদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3jfJL
মিউনিখের ১৯ সেপ্টেম্বরের ছবিছবি: Andreas Gebert/Reuters

শুরু থেকে করোনা মহামারি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হলেও জার্মানির পরিস্থিতি অবনতির দিকে এগিয়ে চলছে৷ বিশেষ করে শীতের মাসগুলিতে সংক্রমণের হার মারাত্মক হারে বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার ও প্রশাসন৷ পরিস্থিতি সামলাতে ফেডারেল ও রাজ্য স্তরে প্রস্তুতির মাঝে সাধারণ মানুষের আচরণের বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ এক দিনে প্রায় ৪,০০০ নতুন সংক্রমণের ফলে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান৷ তিনি এ প্রসঙ্গে মহামারি সম্পর্কে কিছু মানুষের উদাসীনতার সমালোচনা করেন৷ সামাজিক ব্যবধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন স্পান৷ তবে তাঁর মতে, দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা অবকাঠামো বর্তমানে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত৷ সংক্রমণের হার আরো বাড়লে অবশ্য গোটা ব্যবস্থা চাপের মুখে পড়বে বলে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ জার্মানির হাসপাতালগুলির আইসিইউ এখনো গুরুতর অসুস্থ করোনার রোগীদের চিকিৎসা করতে পারছে৷

জার্মানির বড় শহরগুলিতে করোনা সংক্রমণের হার মারাত্মক আকার ধারণ করছে৷ রাজধানী বার্লিন ও আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শহর ফ্রাংকফুর্ট করোনা ‘হটস্পট' হয়ে উঠেছে৷ দুই শহরেই কিছু কড়া বিধিনিয়িম চালু করা হয়েছে৷ এর আওতায় রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বার ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হচ্ছে৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল শুক্রবারই বার্লিন, হামবুর্গ, ব্রেমেন, মিউনিখ, ফ্রাংকফুর্ট কোলোন, ড্যুসেলডর্ফ, ডর্টমুন্ড, এসেন, লাইপসিশ ও স্টুটগার্ট শহরের মেয়রের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করবেন৷ বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাষ অনুযায়ী মার্চ মাসের তুলনায় আরও মারাত্মক ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ সামলাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে তাঁরা কথা বলবেন৷

মার্চ মাসের মতো লকডাউন এড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন৷ ব্যবসাবাণিজ্য সংক্রান্ত এক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, করোনা সংকটের প্রথম ধাক্কা সামলাতে মার্চ মাসে কড়া বিধিনিয়ম চালু করায় অর্থনৈতিক কার্যকলাপ আচমকা কমে গিয়েছিল৷ তখন ‘মারাত্মক ঐতিহাসিক মন্দা’ দেখা দিয়েছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন৷

রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের প্রধান লোটার ভিলার বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে জার্মানির পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে যাবে, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট পূর্বাভাষ করা যাচ্ছে না৷ তাঁর মতে, দিনে ১০,০০০-এরও বেশি নতুন সংক্রমণ দেখা যেতে পারে, ভাইরাস লাগামহীন গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ ভিলার বলেন, মার্চ মাস থেকে কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ মানুষ কার্যকর পদক্ষেপ নেবার ফলে জার্মানির পরিস্থিতি অন্য অনেক ইউরোপীয় দেশের তুলনায় ভালো রয়েছে৷ কিন্তু পরিস্থিতি ভালো থাকার কারণেই আবার উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)