1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির বিরুদ্ধে শরণার্থীদের মামলা

৬ জানুয়ারি ২০১৭

জার্মানির ১৬টি রাজ্যের মধ্যে শুধুমাত্র নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যেই ২০১৬ সালে প্রায় ৪৭,৩০০টি আশ্রয় আবেদন সংক্রান্ত মামলা হয়েছে৷ দেশটির অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা বিএএমএফ এর বিরুদ্ধে এসব মামলা করেছেন শরণার্থীরা৷

https://p.dw.com/p/2VOlw
Deutschland Flüchtlinge
ছবি: Reuters/M. Dalder

এই শরণার্থীদের বেশিরভাগই সিরীয় নাগরিক৷ মামলা করার কারণ, গত বছরের মার্চে জার্মানিতে আশ্রয় আবেদন সংক্রান্ত নতুন একটি আইন পাস হওয়ার পর থেকে আবেদনকারীদের বেশিরভাগকেই ‘অ্যাসাইলাম’ না দিয়ে ‘সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশন’ দেয়া হচ্ছে৷ এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশন পাওয়ার এক বছর পর আবারও তার জন্য আবেদন করতে হয়৷ আর অ্যাসাইলামের ক্ষেত্রে তিন বছর সময় পাওয়া যায়৷ সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশনের ক্ষেত্রে আরেকটি সমস্যা হলো, যারা এটি পেয়েছেন, তাদের জার্মানিতে পরিবার নিয়ে আসার আবেদন করার জন্য দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়৷ মূলত এই বিষয়টিতেই আপত্তি সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশন পাওয়া শরণার্থীদের৷ সেজন্যই তাঁরা বিএএমএফ এর বিরুদ্ধে মামলা করছেন৷

শিশু আঙ্গেলা ম্যার্কেল আশ্রয় পেল না

শরণার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এনজিও ‘প্রো অ্যাসাইল’-এর উপ-পরিচালক ব্যার্ন্ড মেসোভিচ শরণার্থীদের মামলা করার বিষয়টি সমর্থন করেন৷ তিনি জানান, জার্মান সরকার গত বছরের মার্চে যে নতুন আইনটি করেছে তার বিরোধিতা করেছিল প্রো অ্যাসাইল৷ এবং মেসোভিচ মনে করেন, ‘‘পরিবার আনার জন্য দুই বছর অপেক্ষা করা কঠিন৷’’ তাছাড়া সময়টি শুধু দুই বছর নয়, তার চেয়েও বেশি, কারণ, দুই বছর পর পরিবারের সদস্যরা ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন৷ তারপর সাক্ষাৎকারের সময় পাওয়ার জন্যও অপেক্ষা করতে হয়৷

বিএএমএফ এর বিরুদ্ধে শরণার্থীদের মামলা করার আরেকটি কারণ, অনেক শরণার্থীর আবেদন যাচাইবাছাইয়ের কাজ শুরু হতেই বছর খানেক সময় লেগে যাচ্ছে৷ কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, আবেদন গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত শরণার্থীরা কাজ খোঁজা কিংবা জার্মান ভাষা শেখার কাজ শুরু করতে পারেন না৷

উল্লেখ্য, শরণার্থীদের মধ্যে যারা সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে ব্যক্তিগতভাবে নির্যাতনের শিকার হননি তাদেরকে সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশন দেয়া হচ্ছে৷ আর যারা সরাসরি যুদ্ধের শিকার হয়েছেন তারা অ্যাসাইলাম পাচ্ছেন৷

‘অ্যাসোসিয়েশন অফ জার্মান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ জাজেস-’এর প্রধান রবার্ট সিগম্যুলার মনে করছেন, চলতি বছর শরণার্থীদের করা মামলার সংখ্যা অন্তত দ্বিগুন হতে পারে৷ পাশাপাশি তিনি জানান, এত মামলা নিয়ে কাজ করার মতো পর্যাপ্ত বিচারক নেই৷

প্রতিবেদন: কার্লা ব্লাইকার/জেডএইচ

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে নীচে মন্তব্যের ঘরে লিখুন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান