1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিকদের নিরাপত্তা কতদূর?

৭ নভেম্বর ২০২১

২০২০ সালে সারা বিশ্বে ভাঙা প্রতি পাঁচটি জাহাজের একটি বাংলাদেশে ভাঙা হয়েছে৷ কিন্তু এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি৷

https://p.dw.com/p/42geO
ফাইল ছবিছবি: Reuters/A. Dave

স্থানীয় সংস্থা ‘ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের’ হিসেবে, এ বছর এখন পর্যন্ত জাহাজভাঙা শিল্পে কর্মরত অন্তত ১১ জন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন৷

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান এবং তুরস্কে বিশ্বের বেশিরভাগ শিপব্রেকিং ইয়ার্ড অবস্থিত৷ বাংলাদেশে প্রায় ৮০টি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড আছে৷

এই শিল্পে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০০৯ সালে ‘হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য সেফ অ্যাণ্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অফ শিপস' তৈরি করা হয়৷ এখন পর্যন্ত ১৭টি দেশ এটি অনুমোদন করেছে৷ তবে পর্যাপ্ত দেশ এখনও এটি অনুমোদন না করায় চুক্তিটি এখনও কার্যকর হয়নি৷ ২০২৫ সাল নাগাদ তা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷

হংকং কনভেনশনে নিরাপত্তা বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া, ওজনস্তরের ক্ষতি করে এমন উপাদান বাতাসে মেশা প্রতিরোধ করা, অ্যাসবেসটস ও সীসার মতো বিষাক্ত বর্জ্য রাখার জন্য সংরক্ষণাগার গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে৷

বাংলাদেশ সরকার ২০২৩ সালের মধ্যে সব ইয়ার্ডকে হংকং কনভেনশন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে৷

ব্রিটিশ কোর্টে বাংলাদেশি জাহাজ শ্রমিকের মামলা

এখন পর্যন্ত শুধু ‘পিএইচপি শিপ ব্রেকিং অ্যাণ্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ' হংকং কনভেনশন মানছে৷ ২০১৪ সাল থেকে তারা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৯ কোটি টাকা খরচ করেছে৷ জাহাজ থেকে ভাঙা অংশ সরাতে ক্রেন ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এছাড়া একটি নেগেটিভ প্রেসার ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে যার মাধ্যমে নিরাপদভাবে অ্যাসবেসটস দূর করা যায়৷ ফলে শ্রমিকদের অ্যাসবেসটসের (ক্যানসারের কারণ হতে পারে) সংস্পর্শে আসতে হয় না৷ এছাড়া বাতাসেও অ্যাসবেসটস মিশে যায় না৷ এভাবে পৃথক করা অ্যাসবেসটস জার্মানিতেও রপ্তানি করছে পিএইচপি৷

স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসব কাজ করায় অনেক শ্রমিক ছাঁটাই করেছে পিএইচপি৷ একসময় যেখানে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করতো, এখন সেখানে কাজ করছেন মাত্র তিনশ জন৷

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিপব্রেকিং ইয়ার্ড তাদের কাজের পরিবেশ উন্নয়নের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে৷ তবে সরকার ও বিভিন্ন এনজিও মনে করছে, আগামী বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচটির মতো কোম্পানি ঐ কনভেনশন মেনে চলার উপযোগী হতে পারে৷

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কনভেনশনের শর্ত পূরণের জন্য অনেক ইয়ার্ড মালিকের পর্যাপ্ত অর্থ নেই৷ সরকার তাদের ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি৷

এছাড়া ২০২৪ সালের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় বর্জ্য সংরক্ষণাগার ও রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে সরকার৷

জেডএইচ/কেএম (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য