1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিআইবি’র নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ এপ্রিল ২০১৩

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে বা টিআইবি তাদের নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে সোমবার থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চায়৷ তাদের রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে৷

https://p.dw.com/p/18Exf
ছবি: picture-alliance/Dinodia Photo

টিআইবি তাদের নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করে শুক্রবার৷ তাতে বলা হয়েছে, প্রথমে জাতীয় সংসদের স্পিকার দুই রাজনৈতিক জোটের সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বনিম্ন ৪ জন সংসদ সদস্যের নাম আহ্বান করবেন৷ তাদের নিয়ে গঠন করা হবে সংসদীয় ঐক্যমত কমিটি৷ এই কমিটি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান নির্বাচন করবেন৷ এবং প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের ১০ জন সদস্য নির্বাচন করবেন৷ অথবা প্রথমে ১০ জন সদস্য নির্বাচন করা হবে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান নির্বাচন করা হবে৷ নির্বাচনকালীন এই সরকারের মেয়াদ হবে ৩ মাস৷ সংসদীয় ঐক্যমত কমিটির সদস্য জোড় সংখ্যায় ৪-এর অধিকও হতে পারে৷ তবে সদস্যরা সমানুপাতিকভাবে দুই জোটের মধ্য থেকে হবেন৷ আর নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান এবং ১০ জন সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন অথবা অনির্বাচিত হতে পারেন৷ তবে সবার কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য হতে হবে৷

এ নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান৷ তিনি বলেন, তাঁদের এই রূপরেখা সোমবার সব রাজনৈতিক দলের প্রধান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পাঠানো হবে৷ তাঁরা চান সবার সঙ্গে এই রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করতে৷ কারণ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এখনই আলোচনা শুরু না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে৷

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এর আগে সরকার ও বিরোধী দল আলোচনার কথা বললেও আলোচনার বিষয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন প্রস্তাব ছিলনা৷ এখন তারা প্রস্তাব দিলেন৷ এই রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু হলে হয়তো এর চেয়ে ভালো কোন রূপরেখাও বেড়িয়ে আসতে পারে৷

তিনি জানান, তাঁদের রূপরেখা যদি শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে৷ সেজন্য তাঁরা সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলবেন৷ এ জন্য গণভোটেরও প্রয়োজন হতে পারে৷

টিআইবি আগামী নির্বাচনের জন্য এই রূপরেখা প্রস্তাব করছে৷ তবে এর আলোকে একটি সময়সীমাও বেধে দেয়া যায়, যে কতবার এই রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচন হবে৷ ড. ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মত পরিবেশ এখনো হয়নি৷ এবার দুই প্রধান জোট যেভাবে অনড়, তাতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে৷ তাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকালীন সরকারের কোন বিকল্প নেই৷ টিআইবি অরাজনৈতিক সংগঠন হয়েও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কেন কথা বলছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ রাজনীতির বাইরে নয়৷ দেশের ও দেশের মানুষের জন্য ভাবতে কোন বাধা নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য