1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিকে গেলেন টেরেসা মে

১৬ জানুয়ারি ২০১৯

ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটিতে বিশাল ব্যবধানে হেরেছিলেন তিনি৷ তবে অনাস্থা ভোটে সামান্য ব্যবধানে হার এড়িয়ে টিকে গেছেন টেরেসা মে৷

https://p.dw.com/p/3BcRi
Großbritannien London - Theresa May zu Parlamentsabstimmung
ছবি: picture-alliance/PA Wire/House of Commons

মঙ্গলবার ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটে ভরাডুবি হয়েছিল৷ টেরেসা মে’র রক্ষণশীল দলের সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তারপরই লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন৷পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ কমন্সে অনুষ্ঠিত ভোটে বুধবার মে’র সরকারের প্রতি অনাস্থা জানান ৩০৬ জন সদস্য সদস্য, বিপরীতে আস্থা রেখেছেন ৩২৫ জন৷ ১৯ ভোটের এই জয়ের ফলে টিকে গেল মে’র সরকার৷

এর আগে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে ব্রিটেনের সংসদ ব্রেক্সিট চুক্তি বাতিল করে৷ ফলে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েন এবং এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে৷

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকার পক্ষের এতজন সংসদ সদস্য চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান এভাবে বাড়িয়ে দেবেন, তেমনটা কল্পনা করা যায়নি৷ মাত্র ২০২ জন প্রস্তাবের পক্ষে এবং ৪৩২ জন বিপক্ষে ভোট দেন৷ আধুনিক যুগে ব্রিটেনের কোনো সরকারের এমন অভিজ্ঞতা হয়নি৷ এমন এক শোচনীয় পরাজয়ের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বিরোধী পক্ষের উদ্দেশ্যে অনাস্থা প্রস্তাব আনার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন৷ লেবার দলের নেতা জেরেমি কর্বিন সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বুধবারই সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চান৷ এমন প্রেক্ষাপটে ব্রিটেনের রাজনীতি চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে৷

ব্রিটেনের সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তির এমন বিরোধিতার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ কবে ও কীভাবে সম্ভব হবে, সে বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না৷

 ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মে অনাস্থা ভোটে জয়লাভ করলেও সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের পছন্দমতো বিকল্প পেশ করতে পারবেন, এমন আশা অত্যন্ত ক্ষীণ৷ তিনি সব দলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্রের অঙ্গীকার করেছেন বটে, তবে সেই আশা খুবই ক্ষীণ বলেই অনুমান করা হচ্ছে৷ সোমবার তিনি সংসদে নতুন সমাধানসূত্র পেশ করতে চান৷

ব্রিটেনের সংসদ সদস্যদের দাবি মেনে ইইউ ব্রেক্সিট চুক্তিতে কোনো রদবদল করতে প্রস্তুত নয়৷ ব্রেক্সিটের সময়সীমা কিছুদিন বাড়ালেও ব্রিটেনে ঐকমত্য সম্ভব হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তাও নেই৷ তাছাড়া বিলম্বের ক্ষেত্রে আরেকটি সমস্যা হলো, আগামী মে মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে৷ ব্রিটেনকে বাদ দিয়ে আসন বণ্টন করা হয়ে গেছে৷ আগামী ৩০শে জুন নতুন সংসদের অধিবেশন বসবে৷ ব্রিটেনে আগাম নির্বাচন বা প্রধানমন্ত্রী বদল হলেও নতুন কোনো সমাধানসূত্রের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ নতুন করে গণভোটের প্রস্তুতির জন্য অনেক সময় লাগবে৷ তার ফলাফলও অনিশ্চিত৷

 ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতায় ব্রিটেনের সংসদের ঐক্যের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পষ্ট ভাষায় জানতে চেয়েছে, তাঁরা বিকল্প হিসেবে সত্যি কী চান৷ ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘‘চুক্তি যদি অসম্ভব হয় এবং কেউ চুক্তি ছাড়া ইইউ ত্যাগ করতে চান না, সে ক্ষেত্রে একমাত্র ইতিবাচক সমাধানসূত্র কী, কে অবশেষে সাহস করে সে কথা বলবেন?''

ব্রিটেনে এমন অচলাবস্থার ফলে আগামী ২৯শে মে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের প্রস্তুতি আরও গতি পাচ্ছে৷ আয়ারল্যান্ডের সরকার উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমান্তে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে৷ ইউরোপীয় কমিশনও সব দিক বিবেচনা করে প্রস্তুতি নিচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়াটার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান