1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিগ্রেতে চূড়ান্ত অভিযানে তৈরি সেনা

২৭ নভেম্বর ২০২০

টিগ্রেতে আত্মসমর্পণের চরমসীমা শেষ। এ বার সেনা চূড়ান্ত আক্রমণ শানাবে বলে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

https://p.dw.com/p/3ltOn
ছবি: EDUARDO SOTERAS/AFP

আশঙ্কা সত্যি হলো। ইথিওপিয়া সরকারের দেয়া চরমসীমাকে আমল দিল না টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্স (টিপিএলএফ)। চরমসীমা শেষ হওয়ার ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, সেনা এ বার টিগ্রের রাজধানীতে প্রবেশ করবে চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য। সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। সেনাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক জায়গা, প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় আক্রমণ করা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, গত ৭২ ঘণ্টায় অনেক জঙ্গি অস্ত্রসমর্পণ করেছে। এখন টিগ্রের বাকি মানুষকে অস্ত্র ছাড়তে হবে। সাধারণ মানুষ যেন সেনার টার্গেটের কাছে না আসেন। টিপিএলএফ অবশ্য দাবি করেছে, তাদের কোনো সদস্য অস্ত্র ছাড়েননি। সেনার কাছে আত্মসমর্পণও করেননি। সরকার মিথ্যা কথা বলছে।

সেনা বনাম টিপিএলএফের লড়াইয়ের পরেই টিগ্রে থেকে বহু মানুষ সুদানে চলে গেছেন। সংবাদসংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, একজন উদ্বাস্তু বলেছেন, বৃহস্পতিবার থেকে সেনা সুদানে যাওয়ার সব বড় রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ডিডাব্লিউ অবশ্য এই দাবি ঠিক কি না, তা যাচাই করতে পারেনি। কারণ, সেখানে ফোন, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট পরিষেবা কার্যত বন্ধ।

সেনা বনাম টিপিএলএফের লড়াইয়ে কয়েকশ মানুষ মারা গেছেন। অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। প্রচুর মানুষ চলে গেছেন সুদানে। তাও সংঘর্ষ বন্ধ হয়নি। টিপিএলএফের বাহিনী লড়ে গিয়েছে। মূলত সাবেক নিরাপত্তা কর্মী ও স্থানীয় মিলিশিয়ার থেকেই বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করে টিপিএলএফ।

আফ্রিকান ইউনিয়ন মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিল। তারা টিগ্রেতে যেতেও চেয়েছিল। কিন্তু ইথিওপিয়া সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এটা তাদের ঘরোয়া বিষয়। ফলে তৃতীয় কারো মধ্যস্থতার দরকার নেই।

পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে ইথিওপিয়া মানবাধিকার কমিশন খুবই উদ্বিগ্ন। কমিশনের প্রধান ড্যানিয়েল বেকেলের আবেদন, কোনো পক্ষই যেন সাধারণ মানুষকে না মারে। তিনি বলেছেন, রিপোর্ট এসেছে যে, টিপিএলএফ ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় তাদের বাহিনী মোতায়েন করেছে। সেখানে সেনা অভিযান হলে সধারণ মানুষের দুর্গতির শেষ থাকবে না। 

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)