1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দরকার টেকসই রাজনৈতিক ব্যবস্থা

আরাফাতুল ইসলাম১৭ মার্চ ২০১৬

বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক৷ আর সেই সম্ভবনা কাজে লাগিয়ে দারিদ্র পুরোপুরি দূর করা অসম্ভব নয়৷ সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, যা দেশটির উন্নয়নে বড় বাধা৷

https://p.dw.com/p/1IElP
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন
ছবি: Reuters

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি আকাঙ্খা প্রবল৷ একবার ক্ষমতায় যেতে পারলে যে কোনো উপায়ে সেটা ধরে রাখা৷ জনগণের ইচ্ছা, আকাঙ্খা বা দেশ পরিচালনায় দলটির সাফল্য, ব্যর্থতা এক্ষেত্রে বিবেচ্য নয়৷ আর তাই একটি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় হলে দেশটিতে শুরু হয় এক ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা৷ ক্ষমতাসীনদের চেষ্টা থাকে ক্ষমতা ধরে রাখা, আর বিরোধী দল চায় যেকোন উপায়ে তাদের টেনে নামাতে৷ ফলাফল: অবরোধ, হরতালে অসংখ্য প্রাণহানি আর সম্পদের বিপুল ক্ষতি৷

সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের কথাই ধরুন৷ ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির সেই নির্বাচনের আগে দেশটির বিরোধী দল দাবি করলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে৷ কিন্তু বাধ সাধলো ক্ষমতাসীনরা৷ তারা নিজেরাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনেই শেষবার ক্ষমতায় এসেছিল৷ কিন্তু পরে তাদের মনে হয়েছে, সে ব্যবস্থা ঠিক নয়৷ তাই সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিলেন ক্ষমতাসীনরা৷

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তে অনড় বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করলো৷ শুধু বর্জন নয়, তাদের ডাকা হরতাল, অবরোধের সময় প্রাণহানি ঘটলো প্রচুর, সম্পদের ক্ষতিও হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার, অর্থনীতি মুখ খুবড়ে পড়েছে৷ তাতে অবশ্য ক্ষমতাসীনরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি৷ বরং এমন এক একতরফা নির্বাচন তারা করেছে, যেখানে ১৫৩টি আসনে, অর্থাৎ সংসদের অর্ধেকের বেশি আসনে ভোটাভুটিই হয়নি৷

আরাফাতুল ইসলামের ছবি
আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলেছবি: DW/Matthias Müller

নৈতিকভাবে দুর্বল সেই নির্বাচন জয় করার পর অবশ্য ক্ষমতাসীনরা মোটামুটি নিজের অবস্থান পোক্ত করে নিয়েছে৷ ক্রসফায়ার আর মামলা, মোকাদ্দমায় জড়িয়ে বিরোধী দলকে কোনঠাসা করে দিয়েছে৷ অবস্থা এমন যে, বাংলাদেশে বর্তমানে কার্যত কোনো বিরোধী দল নেই৷ অথচ সদিচ্ছা থাকলে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করা যেত, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীল অবস্থা নিশ্চিত করতো৷

সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজির মূল কথা হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন৷ যে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, তা অর্জন অসম্ভবও নয়৷ তবে সেটা তখনই সম্ভব হবে, যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিকক্ষেত্রে একটি টেকসই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে৷ প্রশ্ন হচ্ছে, সেটা কি আদৌ সম্ভব?

বন্ধু, আপনি কি লেখকের সঙ্গে একমত? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান