1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্যাংকারে হামলার ঘটনার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের

১৫ জুন ২০১৯

পারস্য উপসাগর, হরমুজ প্রণালী ও ওমান উপসাগরে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷

https://p.dw.com/p/3KW8S
Iran Kriegsschiff | Konflikt Angriff auf Tankschiffe, Straße von Hormus
ছবি: picture-alliance/Photoshot

শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে এ ঘটনায় সব ধরনের সংঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়া৷

গুতেরেস বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, যে কোন মূল্যে উপসাগরীয় এলাকায় সব ধরনের সংঘর্ষ এড়িয়ে চলা উচিত৷ যদিও এ মুহূর্তে কোন পক্ষেরই আলোচনায় বসার কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না৷''

গত সপ্তাহে ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ঘটে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এ ঘটনার জন্য তেহরানকে দায়ী করে৷ তার আগে গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিকটবর্তী উপসাগরে চারটি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ঘটে৷ ওই হামলার জন্যও ইরানকে দায়ী করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷

হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে অঞ্চলটিতে৷

গত সপ্তাহের হামলার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও বলেন, তাঁর দেশ যে কোন মূল্যে এ অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা চালাবে৷

এদিকে ইরানকে আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সংগঠন আরব লীগের মহাসচিব আবুল ঘেট বলেন, ইরান সকলকেই সংর্ঘর্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ একবার এ সংঘর্ষ শুরু হলে এ অঞ্চলের কেউই নিরাপদ থাকতে পারবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি৷

শান্ত থাকার আহ্বান জার্মানির

চলমান পরিস্থিতে সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেইকো মাস বলেন, সমস্যা নিরসনের একমাত্র পথ হচ্ছে চলমান উত্তেজনা প্রশমিত করা৷ ট্যাংকারে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জার্মান এ কূটনীতিক বলেন, এ ধরনের হামলা শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যই নয়, এ অঞ্চলের শান্তিও বিঘ্নিত করছে৷

নীরব ইরান

ট্যাংকারে হামলার ঘটনায়  যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরানকে দায়ী করলেও এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে দেশটি৷ শনিবার তাজিকিস্তানে রাশিয়া, চীন ও এশিয়ার অন্যান্য দেশের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি৷ তবে তিনি বলেন, পারমানবিক চুক্তির সাথে সম্পৃক্ত দেশগুলোর কাছ থেকে ইতিবাচক কোন সাড়া না পেলে এ চুক্তি থেকে সরে আসবে ইরান৷

আরআর/এসিবি (এপি, রয়টার্স)