1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের অবস্থান আরও দুর্বল করলেন তাঁরই রাষ্ট্রদূত

২১ নভেম্বর ২০১৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আর্থিক পৃষ্ঠপোষক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সংসদের তদন্ত কমিটির সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন৷ ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও আরও চাপের মুখে পড়লেন৷

https://p.dw.com/p/3TQo8
ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ড
ছবি: AFP/A. Canallero-Reynolds

ডনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কিনা, সংসদের নিম্ন কক্ষে সেই তদন্তের প্রকাশ্য শুনানি চলছে৷ তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দল সে ক্ষেত্রে সংসদের নিম্ন কক্ষে ইম্পিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করতে বদ্ধপরিকর৷ তবে উচ্চ কক্ষেও সেই উদ্যোগকে সফল করতে হলে ট্রাম্পের রিপাব্লিকান দলের একাংশের সমর্থনের প্রয়োজন হবে৷ ডেমোক্র্যাটদের আশা, ধীরে ধীরে ক্ষমতাসীন দলের ঐক্যে ফাটল ধরবে৷ বুধবার তদন্তের শুনানির চতুর্থ দিনে সেই আশা আরও জোরদার হয়েছে৷

এদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ড সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কমিটির সদস্যদের জেরার মুখে বিস্ফোরক দাবি করেন৷ উল্লেখ্য, বিত্তবান হোটেল মালিক হিসেবে তিনি ট্রাম্পের রাজনৈতিক কার্যকলাপে মুক্ত হাতে দান করে এসেছেন৷ সন্ডল্যান্ডের মতে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে জো বাইডেন ও তাঁর পুত্রের কার্যকলাপ সম্পর্কে দু-দুটি তদন্তের জন্য ইউক্রেনের উপর ট্রাম্প যে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, সে বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যত সব কর্তাব্যক্তিই অবগত ছিলেন৷ এমনকি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও নাকি জানতেন, যে ট্রাম্প কংগ্রেস অনুমোদিত গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সাহায্য বন্ধ রেখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন৷ দাবি মানলে ট্রাম্প সামরিক সাহায্যের ছাড়পত্র ছাড়াও হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণের টোপও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আনা হচ্ছে৷

সন্ডল্যান্ড আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে তিনি প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ ফলে তাঁকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির সঙ্গে সহযোগিতা করতে হয়েছিল৷ তাঁর মতে, গোটা বিষয়টি মোটেই আর গোপন ছিল না৷ তিনি এই মর্মে একটি ই-মেল পাঠিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সহযোগিতার বিষয়ে জানিয়েছিলেন৷ পম্পেও ছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক কর্তাব্যক্তি সেই ই-মেল পেয়েছিলেন৷ সন্ডল্যান্ড অবশ্য স্বীকার করেন, যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনো তাঁকে সরাসরি বলেন নি, যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত চালালে তবেই ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ সামরিক সাহায্যের ছাড়পত্র দেওয়া হবে৷

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছেন৷ বুধবার তিনি এমনকি দাবি করেন, যে তিনি নাকি সন্ডল্যান্ডকে চেনেন না৷ অথচ ট্রাম্প নিজেই তাঁকে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছিলেন৷ রিপাব্লিকান দলের নেতারা এখনো ট্রাম্পের পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছেন৷ তাঁদের মতে, শুধু অনুমানের উপর ভিত্তি করে গোটা তদন্ত চালানো হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)