1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার বৈধ: সেনেট

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সেনেটে শুরু হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসন বিচার। মঙ্গলবার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে মার্কিন সেনেট।

https://p.dw.com/p/3p8mv
মার্কিন সেনেট
ছবি: U.S. Senate TV/REUTERS

তিনি এখন আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন। জানুয়ারির ২০ তারিখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসন প্রস্তাব খারিজ হবে না। সেনেটে তাঁর অভিশংসন বিচার হবে। মঙ্গলবার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ৫৬-৪৪ ভোটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট ট্রায়ালের প্রস্তাব সেনেটে পাশ হয়েছে।

আগেই মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব গৃহিত হয়েছিল। ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত কংগ্রেসে ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বার ইমপিচও করা হয়েছে। প্রস্তাব এখন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেনেটে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেছিলেন, সেনেটে প্রস্তাবটিই গ্রহণ করা হবে না। যেহেতু ট্রাম্প এখন আর প্রেসিডেন্ট নন, ফলে প্রস্তাবটি গোড়াতেই বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। আদৌ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন বিচার হবে কি না, মঙ্গলবার তা নিয়ে সেনেটে তীব্র বিতর্ক হয়। এরপর ভোটাভুটি হয়। সেখানে প্রস্তাব পাশ হয়েছে ৫৬-৪৪ ভোটে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ছয় জন রিপাবলিকান সেনেটার অভিশংসন বিচারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এর আগে মাত্র এক জন রিপাবলিকান সেনেটার প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন। ফলে সেই দিক থেকে দেখলে এটা ডেমোক্র্যাটদের জয়। কিন্তু এই স্ট্রাইক রেট নিয়ে সেনেটে ট্রাম্পকে ইমপিচ করা সম্ভব নয়। দুই-তৃতীয়াংশ ভোটেই একমাত্র প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা যায়। তার জন্য মোট ১৭টি রিপাবলিকান ভোট প্রয়োজন ডেমোক্র্যাটদের। এখন দেখার, বিচার চলাকালীন আরো ১১ জন রিপাবলিকান সেনেটরকে ডেমোক্র্যাটরা নিজেদের দিকে টানতে পারেন কি না।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটিই অভিযোগ। তিনি ক্যাপিটলের ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। এ দিনের বিতর্কে ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, ঠান্ডা মাথায় সমর্থকদের ক্যাপিটলে হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন ট্রাম্প। রিপাবলিকানরা বলার চেষ্টা করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট চলে যাওয়ার পরে এ ধরনের বিতর্কের আর কোনো অর্থ হয় না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টেকেনি।

এর আগে সেনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা অভিশংসন প্রস্তাবের বিচার হয়েছিল তিন সপ্তাহ ধরে। এবার তা এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)