1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের আচরণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

৫ নভেম্বর ২০২০

মার্কিন নির্বাচনে কে জয়ী হচ্ছেন তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়৷ খুব শিগগিরই এর মীমাংসা হচ্ছে না৷ ডয়চে ভেলের যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি কার্লা ব্লাইকার মার্কিন নির্বাচন নিয়ে তাঁর মতামত তুলে ধরছেন৷

https://p.dw.com/p/3kukR
ছবি: Carlos Barria/REUTERS

মার্কিন নির্বাচনের রাতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যেমনটা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, ফলাফলে তারই আভাস পাওয়া যাচ্ছে৷ অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত বলার উপায় নেই যে চূড়ান্তভাবে কে জয়ী হচ্ছেন৷ পেনসিলভেনিয়াসহ তিনটি রাজ্যের ফলাফল এখনও কোন দিকে যাবে নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই৷ ফলে অপেক্ষা দীর্ঘ হতে পারে৷ তবে দুই প্রার্থী তাদের সমর্থকদের ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন৷ জো বাইডেন বুধবার সকালে তাঁর হোম টাউন ডেলাওয়ারে সমর্খদের উদ্দেশে কথা বলেন৷ সেখানে তিনি বলেন, প্রত্যেকটা ভোট গণনা হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় আছেন এবং এজন্য হয়ত অপেক্ষাটা দীর্ঘ হতে পারে৷ 

ফলাফল গণনা দীর্ঘ হওয়ার কারণ হলো৷ তিন পদ্ধতিতে ভোট নেয়া হয়েছে: ১. ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দান, নির্বাচনের আগেই ভোট দেয়া এবং মেইলের মাধ্যমে ভোট৷ পুরো প্রক্রিয়াটি গণতান্ত্রিক৷ অথচ ডনাল্ড ট্রাম্প এই পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে বলেছেন ‘ভোট জালিয়াতি’ হয়েছে৷ কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই বুধবার সকালে এ নিয়ে টুইট করেছেন তিনি৷ যদিও তার এই অবস্থানে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই৷ 

বুধবার সকালে দেয়া তার বক্তব্যে ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়াসহ এমন সব রাজ্যে নিজের বিজয় ঘোষণা করেন, যেগুলোর সব ভোট গণনা হওয়া এখনও বাকি৷ 

যেসব ভোট এখনও গণনা বাকি, তার মধ্যে বেশিরভাগই পোস্টাল ভোট৷ বিশ্লেষকদের মতে, পোস্টাল ভোট বেশি দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা৷ আর এ কারণেই ট্রাম্প চান না এই ভোটগুলো গণনা হোক৷ এ কারণেই ভোট গণনার প্রক্রিয়াকে জালিয়াতি বলে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প৷ এমনকি সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

Autorenbild l Kommentatorenbild DW Carla Bleiker PROVISORISCH
কার্লা ব্লাইকার, ডয়চে ভেলের যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিছবি: privat

লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা কিন্তু জো বাইডেনের জয়ের ব্যাপারে একেবারে নিশ্চিত৷ তবে এটা ঠিক এতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এটা কল্পনাও করেননি তারা৷ 

ট্রাম্প এমন একজন প্রেসিডেন্ট যিনি মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে চান, যিনি অভিবাসী শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করতে চান, যিনি মার্কিন মহিলা কংগ্রেস সদস্যের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী কথা বলেন, যিনি অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছেন, যার কারণে করোনায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে...তালিকাটা আরও দীর্ঘ৷ তবে দুঃখের বিষয় হলো এরপরও অনেক অ্যামেরিকান ট্রাম্পকেই ভোট দিয়েছে৷

কার্লা ব্লাইকার/এপিবি