1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের আচরণে ‘বিষণ্ণ’ ম্যার্কেল

১১ জুন ২০১৮

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর ক্ষুব্ধ টুইট বার্তার মাধ্যমে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের অর্জনকে যেভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ তিনি ইউরোপীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2zFpr
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

ক্যানাডায় জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন থেকে ফিরে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর স্বভাবসিদ্ধ সংযম বজায় রেখেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে তাঁর ক্ষোভ চেপে রাখেননি৷ যৌথ ঘোষণাপত্রের প্রতি প্রথমে সম্মতি জানিয়েও তারপর ক্রোধের বশে আচমকা এক টুইট বার্তার মাধ্যমে সেটিকে নাকচ করে দিয়ে ট্রাম্প যে বেপরোয়া মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন, তার ফলে ম্যর্কেল বিষণ্ণ বোধ করছেন৷

জার্মান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এআরডি-র এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ম্যার্কেল অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ট্রাম্প বাকি বিশ্বের উপর যে শাস্তিমূলক শুল্ক চাপিয়েছেন, ক্যানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার উচিত জবাব দেবে৷ অ্যামেরিকা ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর বাড়তি শুল্ক চাপিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা – ডাব্লিইউটিও-র নিয়ম ভঙ্গ করেছে বলে মনে করেন ম্যার্কেল৷ ডাব্লিইউটিও-র নিয়মের কাঠামোর মধ্যেই ইইউ তার প্রতিক্রিয়া দেখাবে৷ গোটা প্রক্রিয়ায় ইইউ ক্যানাডা ও জাপানের সঙ্গে সমন্বয় করে চলবে, বলেন ম্যার্কেল৷ তবে ইউরোপের কোনো নির্দিষ্ট পালটা পদক্ষেপ এখনো চূড়ান্ত হয়নি, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷

ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের পর ট্রাম্প গাড়ি আমদানির উপরেও শুল্ক চাপানোর যে হুমকি দিয়েছেন, সে বিষয়ে জার্মানি তথা ইউরোপ আরও দুশ্চিন্তায় ভুগছে৷ এ প্রসঙ্গে ম্যার্কেল ইউরোপীয় ঐক্যের উপর জোর দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, কোনো ইইউ সদস্য দেশ এককভাবে অ্যামেরিকা বা চীনের দিকে ঝুঁকে পড়লে আখেরে ইইউ দুর্বল হয়ে পড়বে৷ সাধারণ কৌশলগত নীতি ছাড়া ইইউ বর্তমান পরিস্থিতিতে শক্তিশালী থাকতে পারবে না, বলেন তিনি৷ একইসঙ্গে অ্যামেরিকার সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাবার পক্ষে সওয়াল করেন ম্যার্কেল৷

জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র থেকে অ্যামেরিকার প্রত্যাহারের জন্য পুরোপুরি ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে দায়ী করছে মার্কিন প্রশাসন৷ জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ক্যানাডার উপর শাস্তিমূলক শুল্ক চাপানোকে অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রুডো৷ বিমানে সিঙ্গাপুর যাবার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে এক টুইট বার্তায় অত্যন্ত জোরালো ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করেন৷ ‘ট্রুডো পেছনে আমাদের ছুরি মেরেছেন’ এমন অভিযোগ করেন তিনি৷

ফ্রান্সও ক্রোধের বশে ট্রাম্পের আচরণের সমালোচনা করেছে৷ প্রেসিডেন্টের দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ক্রোধ ও বেসামাল মন্তব্যের উপর নির্ভর করতে পারে না৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)