1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্য

ট্রাম্পের কারণে বাণিজ্য বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত জি-৭

৯ জুন ২০১৮

জি-৭ নেতারা বাণিজ্য নিয়ে, এমনকি একটি যৌথ বিবৃতি তৈরি করতেও হিমসিম খাচ্ছেন৷ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চিন্তাভাবনায় এত পার্থক্য যে, এর সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/2zCqF
Kanada G7 Gipfel
ছবি: picture-alliance/AA/E. Bolte

জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের শুক্রবার ছিল প্রথম দিন৷ দিনের আলোচনা শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদিও দাবি করেছেন যে, ‘অনেক অগ্রগতি' হয়েছে, কিন্তু আদতে পশ্চিমা এই দেশগুলো বাণিজ্য, জলবায়ু ও ইরানের পরমাণু চুক্তি বিষয়ে দ্বিধাবিভক্তই রয়ে গেছে
এবারের সম্মেলনের আয়োজক ক্যানাডা কয়েকদিন আগেই মন্তব্য করে যে, প্রতিবেশী দেশটি ও ইউরোপের ওপর ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর যে আমদানি শুল্ক বসিয়েছে, তা ‘অবৈধ'। এই শুল্ক তুলে নেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ নেই বলেই মনে হচ্ছে৷
‘অর্থনৈতিক নিরাপত্তা'র কথা ভেবে এই শুল্ক বসানো হয়েছে বলে ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি বরং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে এক ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধের অবকাশ তৈরি করেছে বলে মত বিশ্লেষকদের৷ এবারের জি-৭ সম্মেলনে এর কতটুকু সমাধান হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়৷
ট্রাম্পের সঙ্গে দু'বার বৈঠকের পর ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন যে, ‘খোলাখুলি' আলোচনা হয়েছে৷ তবে সমাধান হয়েছে বা হতে যাচ্ছে এমন কোনো ইঙ্গিত দিতে পারেননি তিনি৷
জাস্টিন ট্রুডোর অফিস জানায়, ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক নিরাপত্তার নামে শুল্ক আরোপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি৷ ট্রাম্প সেখানে মুখ বাঁচানো কথাবার্তা বলেন বলে জানা যায়৷
সব মিলিয়ে এবারের জি-৭ বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্বের পথচলা সামনে আরো কঠিন হয়ে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রধান ডোনাল্ড টাস্কের ভাষায়, ‘‘আমি শঙ্কিত, এভাবে চললে পৃথিবীতে শৃঙ্খলা বলে আর কিছু থাকবে না৷ বিস্ময়ের ব্যাপার এর কারণ হিসেবে যাদের আমরা সবসময় দায়ি করি তারা নয়, এর কারণ হবে যারা সবসময় শৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলে, সেই যুক্তরাষ্ট্র৷''
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জি-৭-এর অন্য দেশগুলো যেমন, ক্যানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ইটালির সঙ্গে মতবিরোধ এই প্রথম এমন অবস্থায় গিয়েছে যে, একটি সম্মেলনের একটি যৌথ বিবৃতি তৈরি করতে হিমসিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা৷
টুইট বার্তায় মাক্রোঁ বলেই দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন অন্য নেতারা৷
‘‘একা হতে সমস্যা নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের৷ আমাদেরও সমস্যা নেই, তাঁকে ছাড়া কোনো চুক্তিতে সই করতে৷'' টুইট করেন তিনি৷

Trump goes it alone: Europe at a loss?

ক্যানাডা থেকে শনিবার সকালেই ফিরে যাবার কথা ট্রাম্পের৷ কারণ মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ হবার কথা সিঙ্গাপুরে৷ সেজন্য প্রস্তুতি দরকার৷

 


জেডএ/ডিজি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য