1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধে চিন্তিত ম্যার্কেল

১২ জানুয়ারি ২০২১

ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জার্মান চ্যান্সেলার ম্যার্কেল চিন্তিত। তাঁর উদ্বেগ, মুক্ত চিন্তার অধিকার নিয়ে।

https://p.dw.com/p/3no4g
ছবি: Rainer Keuenhof/Getty Images

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলার ম্যার্কেলের সম্পর্ক আদৌ মধুর নয়। গত চার বছরে একাধিকবার ট্রাম্প ও ম্যার্কেলের মতবিরোধ সামনে এসেছে। ক্যাপিটলের ঘটনার পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।এর ফলে চিন্তা বেড়েছে জার্মান চ্যান্সেলারের। তাঁর মুখপাত্র জানিয়েছেন, চ্যান্সেলার মনে করেন, বিষয়টি  নিয়ে সমস্যা আছে। কারণ, মত প্রকাশের স্বাধীনতাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই চ্যান্সেলারের মনে হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি সমস্যার।

মুখপাত্র জানিয়েছেন, ম্যার্কেল মানেন যে, ট্রাম্পের অনেক টুইট ঠিক নয়। তা সত্ত্বেও মত প্রকাশের অধিকার নিয়ে কোনো বেসরকারি সংস্থা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, সরকারই আইন মেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

ক্যাপিটলের ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যুর পরই টুইটার ও ফেসবুক ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। তাদের যুক্তি ছিল, ট্রাম্পের টুইটের ফলে আরো সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে।

জার্মানিতে এই বিষয়ে ওপিনিয়ন পোলে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্পের টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত মানুষ সমর্থন করছে। কিন্তু ইউরোপের রাজনীতিক ও কর্মকর্তারা ভিন্নমত। জার্মান পার্লামেন্টের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট সদস্য জেনস জিমেরমান ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া অবশ্যই সমস্যার। কারণ, আমাদের জানতে হবে, কেন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, কোন আইন অনুসারে নেয়া হলো, এর ভবিষ্যৎ কী?''

জেনস ডিজিটাল এজেন্ডা সংক্রান্ত জার্মান পার্লামেন্টের কমিটির সদস্য। তিনি বলেছেন, ''একটি কোম্পানির সিইও এখানে একজন রাষ্ট্রনেতাকে কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছেন না। ট্রাম্প জার্মানিতে খুব একটা জনপ্রিয় নন। কিন্তু তিনি একটি গণতান্ত্রিক দেশের প্রধান। আজ এটা ট্রাম্পের সঙ্গে হয়েছে। কাল অন্য দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে হতে পারে। তাই এ বিষয়ে আইন করা দরকার।''

জার্মানি এবং অন্য ইউরোপীয় দেশগুলি সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় মিডিয়া সংস্থার ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা নিয়ে চিন্তিত।

জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, রয়টার্স)