1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব, বুধবার ভোটাভুটি

১২ জানুয়ারি ২০২১

ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনল ডেমোক্র্যাটরা। অন্যদিকে ট্রাম্প দেখা করলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের সঙ্গে।

https://p.dw.com/p/3no4G
ক্যাপিটলের ঘটনার পর প্রবলভাবে সমালোচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।ছবি: Saul Loeb/AFP

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ আর এক সপ্তাহ। কিন্তু ক্যাপিটলে  তাণ্ডবের পর সেটুকু সময়ও আর তাঁকে দিতে চান না ডেমোক্র্যাটরা। তাঁরা অবিলম্বে ট্রাম্পের বিদায় চান। সেজন্য প্রথমে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল, যাতে তিনি সংবিধান অনুসারে তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে সরিয়ে দেন। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট এখনো সেরকম কোনো পদক্ষেপ নেননি। রিপাবলিকানরাও এর বিরোধিতা করেছেন। তাই ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব এনেছে। আগামী বুধবার তারা এই প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি চায়।

ট্রাম্পের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিয়ে রিপাবলিকান সদস্য পিটার মেইজার বলেছেন, তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। তিনি সিএনএন-কে জানিয়েছেন, ''আমি মনে করি, ট্রাম্প শাসন করার যোগ্যতা হারিয়েছেন।''

ঠিক এই কথাই ডেমোক্র্যাটরা বলছেন। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি জানিয়েছেন, তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছেন, সংবিধানের ২৫ তম সংশোধন অনুসারে ট্রাম্পকে যেন তিনি অবিলম্বে সরিয়ে দেন। রিপাবলিকানরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। ফলে সোমবার এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়নি। মঙ্গলবার হতে পারে।

ডেমোক্র্যাটরা চাইছেন, বুধবারই ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোটাভুটি হয়ে যাক। তবে ৪৩৫ সদস্যের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়ে গেলে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব যাবে সেনেটে। সেখানে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাব পাস হতে হবে। তা হলেই ট্রাম্পকে সরানো যাবে। সেটা ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে জোগাড় করা শক্ত। কারণ, রিপাবলিকান সেটেনরদের একটা অংশ ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট না দিলে সেটা সম্ভব নয়। যদি ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হয়, তা হলে তিনি আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

ট্রাম্প-পেন্স সাক্ষাৎ

ক্যাপিটলের ঘটনার পর এই প্রথম তাঁদের সাক্ষাৎ হলো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের। দুই জনেরই পদে থাকার মেয়াদ আর মাত্র এক সপ্তাহ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প ও পেন্স তাঁদের কার্যকালের শেষ সময়টুকু একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ক্যাপিটলের ঘটনার পর পেন্স খুবই ক্ষুব্ধ বলে আগে শোনা গেছিল। বলা হচ্ছিল, তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। কিন্তু এই সাক্ষাতের পর মনে করা হচ্ছে, নতুন করে আর কোনো বিরোধে জড়াতে চান না ট্রাম্প ও পেন্স। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, ওয়াশিংটনে ১১ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি থাকবে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)