1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুকে হারাতে মশা ছাড়বে সিঙ্গাপুর

৪ মার্চ ২০১৮

সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গু ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে৷ এর দ্বিতীয় পর্বে আরও মশা ছাড়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি৷

https://p.dw.com/p/2tWlK
ছবি: Imprensa/MOSCAMED

প্রকল্পের নাম ‘প্রোজেক্ট ওলবাকিয়া'৷ ওলবাকিয়া হচ্ছে একটি ব্যাকটেরিয়া৷ ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য দায়ী এডিস এজিপ্টি মশার মধ্যে এই ওলবাকিয়াকে ঢুকিয়ে দেয়া হবে৷ ফলে ঐ মশাগুলো বন্ধ্যা হয়ে যাবে৷ এই অবস্থায় সেগুলোকে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়া হবে৷

উদ্দেশ্য হচ্ছে, ওলবাকিয়া সমৃদ্ধ পুরুষ এডিস এজিপ্টি মশা যখন নারী এডিস এজিপ্টি মশার সঙ্গে মিলিত হবে, তখন যে ডিম উৎপাদিত হবে, তা নিষিক্ত হবে না৷ ফলে এডিস মশার সংখ্যা আর বাড়বে না৷

সিঙ্গাপুরের ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি'এনইএ সোমবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে৷ এপ্রিল থেকে প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে৷

সিঙ্গাপুরে মশা তাড়ানোর অভিযান

ওলবাকিয়া সমৃদ্ধ মশা দিয়ে এডিসকে নিধন করার এটিই প্রথম উদ্যোগ নয়৷ এর আগে গতমাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোগবাহী এডিস এজিপ্টির সংখ্যা কমাতে ওলবাকিয়াবাহী বন্ধ্যা মশা ছেড়েছিলেন৷ তারও আগে গত আগস্ট মাসে ব্রাজিলের রিও ডি জানিরোতেও একই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল৷

এডিস এজিপ্টি মশার কারণে প্রতিবছর বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের দুই কোটিরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন৷ তবে শুধু ডেঙ্গু নয়, জিকা, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি রোগের জন্যও দায়ী এডিস এজিপ্টি মশা৷

ডেঙ্গুর কারণে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশি ও গাঁটে ব্যথা, ত্বকে র‍্যাশ ইত্যাদি হয়৷ কখনও কখনও তা প্রাণঘাতীও হতে পারে৷

তাছাড়া জিকা ভাইরাসের কারণে নবজাতক শিশুর জন্মের সময় মারাত্মক ত্রুটি দেখা দেয়৷ ২০১৬ সালে এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই সময় কিছুদিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল৷

২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়েছিল৷ এরপর গতবছর চিকুনগুনিয়া রোগে ভুগেছিলেন অনেকে৷ এই রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকলেও রোগীর কষ্ট হয় বেশি৷

জেডএইচ/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো জানান নীচের ঘরে৷