1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডেল্টার চেয়ে কম শক্তিশালী ওমিক্রন: যুক্তরাজ্যের রিপোর্ট

২৪ ডিসেম্বর ২০২১

যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেলথ সার্ভিস একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেখানেই ওমিক্রনকে ডেল্টার চেয়ে কম শক্তিশালী বলা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/44nR8
ওমিক্রন
ছবি: Daniel Leal-Olivias/AFP

যুক্তরাজ্যের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতির প্রভাবে যত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, ওমিক্রনের প্রভাবে তার চেয়ে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কম মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। এর থেকেই স্পষ্ট, ওমিক্রনের শক্তি ডেল্টার চেয়ে কম। তবে একই সঙ্গে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের সংক্রমণ ডেল্টার চেয়েও তীব্র। ফলে নতুন প্রজাতির করোনা ছড়াচ্ছে বেশি।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ অবশ্য একইসঙ্গে সতর্কবার্তাও জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে গবেষণায় এই ফলাফল মিলেছে, তা খুবই কম নমুনার উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ফলে ফলাফলটিকে প্রাথমিক হিসেব বলে ধরে নেওয়াই ভালো। এ বিষয়ে আরো গবেষণা হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে তাদের দাবি, এতদিন ধরে ওমিক্রননিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, তার অধিকাংশইতেই দেখা গেছে, ডেল্টার চেয়ে এই প্রজাতি তুলনায় কম শক্তিশালী।

শক্তি কম থাকলেও ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে নতুন প্রজাতির ভাইরাসটিকে তাচ্ছিল্য করলে চলবে না। জানিয়েছে, লন্ডনের স্বাস্থ্য বিভাগ। সামাজিকবিধিগুলিও মেনে চলতে হবে।

যুক্তরাজ্যের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তরুণদের মধ্যে অথবা অপেক্ষাকৃত কম বয়সিদের মধ্যে ওমিক্রন ছড়ানোর প্রবণতা বেশি। হাসপাতালে যাদের ভর্তি করতে হয়েছে, তার মধ্যেও তরুণের সংখ্যা বেশি। স্বাস্থ্য বিভাগের বক্তব্য, দুইটি টিকা নেওয়া থাকলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে বুস্টার ডোজের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সকলকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

অ্যামেরিকা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষণাতেও ওমিক্রন নিয়ে একই ধরনের ফলাফল মিলেছিল। কিন্তু কোনো দেশই ওমিক্রনকে তাচ্ছিল্য করছে না। কারণ, নতুন প্রজাতির ভাইরাসটির সংক্রমক ক্ষমতা বেশি। ভারতেও ওমিক্রন ছড়াচ্ছে। দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ওমিক্রনের মোকাবিলা করার জন্য দিল্লির হাসপাতালগুলি তৈরি। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লির অবস্থা ভয়াবহ হয়েছিল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, বিবিসি, পিটিআই)