1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রি করতে চায় অ্যামেরিকা

১৩ অক্টোবর ২০২০

চীনের আপত্তি অগ্রাহ্য করে তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রি করতে চায় অ্যামেরিকা। অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব এখন অনুমোদনের জন্য মার্কিন কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3jpT2
ছবি: Getty Images/AFP/C. Stache

তাইওয়ানকে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করতে উদগ্রীব হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে। রকেট লঞ্চার, এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল, এফ ১৬ যুদ্ধবিমানের এক্সটার্নাল সেন্সার পড সহ বেশ কিছু জিনিস তাইওয়ানকে বিক্রি করতে চায় তারা। পাঁচটি সূত্র থেকে সংবাদসংস্থা রয়টার্স এই খবর পেয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই চীনএই উদ্যোগে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। ওয়াশিংটনের চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তা অ্যামেরিকা ও চীনের সম্পর্কে বিপুল প্রভাব ফেলবে। চীন মনে করে, তাইওয়ান তাদের এলাকা। তাইওয়ান নেয়ার জন্য তারা বলপ্রয়োগেও রাজি। এই অবস্থায় তাইওয়ানকে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন।

সেনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটি এবং হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্যদের জানানো হয়েছে, মার্কিন বিদেশ বিভাগ তিনটি অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।

অ্যামেরিকা যে সব অস্ত্র বিক্রি করতে চায়, তার মধ্যে ক্ষেপনাস্ত্র, রকেট লঞ্চার, এফ ১৬-র সেন্সার পড ছাড়াও আছে, অত্যাধুনিক ড্রোন, অ্যান্টি শিপ মিসাইল, জলের তলায় ব্যবহার করা যায় এমন মাইন।

মার্কিন কংগ্রেস চাইলে যে কোনো দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রির প্রয়াস বন্ধ করে দিতে পারে বা থামিয়ে দিতে পারে। তবে দুই কক্ষেই তাইওয়ানের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন প্রচুর সদস্য আছেন। তাঁরা এই প্রস্তাবের বিরোধ করবেন না। অ্যামেরিকার অফিসাররা গত সপ্তাহেই চীনের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তাইওয়ানকে আরো বেশি করে অস্ত্র কেনার কথা বলেছেন।

অস্ত্র বিক্রি পর্যন্ত ঠিক আছে, প্রশ্ন হলো, চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে, তা হলে অ্যামেরিকা কী করবে? তারা কি চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে? তা হলে তার ফল সুদূরপ্রসারী হবে।

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স)