1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তারাদের জয় উদযাপন

মাসুম বিল্লাহ
১৮ জুন ২০১৯

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া জয়ের ফলে আনন্দ ভাসছে পুরো দেশ৷ জয়ের উল্লাস আনন্দে সামিল হয়েছেন তারকারাও৷

https://p.dw.com/p/3Ke4I
ছবি: Getty Images/A. Davidson

টাইগারদের আত্মবিশ্বাসী জয়ে তাঁরা যেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তেমনি বিশ্বকাপের শেষ চারে পৌঁছার স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি শুভাশীষও জানিয়েছেন৷

লেখক-চলচ্চিত্রকার সাদাত হোসাইন নাকি বিজয়ের পর রাতে ঘুমাতেই পারেননি! চেষ্টা করলেও খেলার স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছিল৷

‘‘গতকালকে আমরা সারারাত ঘুমাই নাই৷ আমার কাছে জয়টা একটা অভ্যাসে পরিণত হওয়ার পরও বিশ্বকাপের এই জয়গুলো আমাদের আগের মতো এক্সাইটমেন্ট দিচ্ছে৷ বন্ধুদের নিয়ে রাত পার করে দিয়েছি৷ সাকিব সর্বোচ্চ রান স্কোরার হলো, আমরা কালকে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতেছি৷ এটা আমাদের রেকর্ড৷ বিশ্বকাপে সেকেন্ড কিন্তু আমাদের হায়েস্ট রান তাড়া করার রেকর্ড৷ সবকিছু মিলিয়ে গতকালকের জয়টা আমাদের জন্য বিশেষ কিছু৷ সারারাত ঘুম হয়নি৷ এমনকি ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেছি, সাকিব-লিটন ব্যাট করছে৷ এটাই অবিশ্বাস্য ব্যাপার আর কি,'' ডয়চে ভেলেকে বলেছেন তিনি৷

নিজের এমন পরিস্থিতির ব্যাখ্যায় সাদাত বলেন, ‘‘গতকালের ম্যাচটা আমাদের জন্য নতুন এক্সাইটমেন্ট৷ সেই আগের মতো ছিল, আমরা বিশ্বকাপের মতো বড় জায়গায় সেমি ফাইনালে পৌঁছাতে পারব কি-না৷ আর এখন আমাদের সকল অর্জন একটা জায়গায় প্রকাশিত হচ্ছে৷ সেটা হচ্ছে দলমত নির্বিশেষ, মনে হয় এটা আমার অর্জন৷ আমার নিজের কাছেও মনে হয়৷''

সারারাত ঘুমাই নাই: সাদাত হোসাইন

ছোটবেলা থেকে খেলা দেখার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘‘যখন আমরা ছোটো ছিলাম, বাংলাদেশ তেমন জিততো না৷ যেমন জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জিতল, কেনিয়ার সঙ্গে জিতলো, আমরা প্রচণ্ড এক্সাইটমেন্টে থাকতাম৷ এখনকার ছেলেমেয়েরা সেটা বুঝবে না৷ একই সঙ্গে ২৪টা ২৫টা ম্যাচ হারার রেকর্ডও আমাদের ছিল৷ তখন আমরা যখন একটা ম্যাচ জিততাম, তখন অবিশ্বাস্য উচ্ছ্বাসের ব্যাপার ছিল৷ ক্রিকেটাররাও মাঠে ল্যাপ অব অনার দিতো৷ এখন যখন আমরা জয় পাই, তখন ভাবি, আমাদের এই জয়গুলো আগের এক্সাইটমেন্ট আনে কি-না৷

‘‘বিশ্বকাপে জয়গুলো, যেমন, যখন সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে জিতি, তখন সে রকম ল্যাপ অব অনার দেখা যায় নাই৷ তাদের মধ্যে জয়গুলো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে৷ আমাদের কাছেও এই জিতাগুলো একটা অভ্যস্ততার ব্যাপারে পরিণত হয়েছে৷ কিন্তু ওয়ার্ল্ড কাপটা আমাদের জন্য একটা বিশেষ ব্যাপার৷ এবার বিশ্বকাপে আমাদের ইচ্ছা ছিল আমরা সেমি ফাইনাল খেলব৷ সাকিব যাওয়ার আগে বলে গেছে, আমাদের বিশ্বকাপ জেতারও একটা সম্ভাবনা আছে৷''

সোমবারের সাকিবের খেলা দেখার পর তাঁকে নিয়ে লেখার ইচ্ছার কথা সাদাত হোসাইন৷ ‘‘গতকাল আমার মনে হয়েছে, আমি তামিমকে নিয়ে লিখেছি, মাশরাফি নিয়ে লিখেছি, সাকিবকে নিয়ে এতোকিছুর পরও লেখা হয়নি৷ আমি সাকিবকে নিয়ে লিখতে চাই৷ সেটা কবিতা হতে পারে, গল্প-প্রবন্ধ হতে পারে৷ এই জায়গাটা আমার হঠাৎ করে মনে হলো, সাকিবকে নিয়ে আমার কিছু একটা লেখা উচিত৷''

খেলার শুরুর আগে নিজের নামে লেখা লাল-সবুজের জার্সি ফেসবুকে আপলোড করেন বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব সোনিয়া বশির কবির৷ এক সময় আবাহনী ক্লাবের এই ক্রিকেট ও ভলিবল খেলোয়াড় লেখেন, ‘‘এগিয়ে যাও বাংলাদেশ৷''

বড় রকমের ক্রিকেটভক্ত হিসাবে পরিচিত অভিনেতা জাহিদ হাসান৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয় নিয়ে জানতে চাইলে অন্য সবার মতোই আনন্দে উদ্বেল হওয়ার কথা জানান তিনি৷

তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রতিটা নাগরিক যেমন কোনো সাফল্যে খুশী হয়, আমিও বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমিও সেই রকম খুশী৷''

তামিমের আউটে কষ্ট লেগেছে: অভিনেতা জাহিদ হাসান

সোমবারের খেলার বিশ্লেষণ করে জাহিদ হাসান বলেন, ‘‘কালকের খেলায় আমার কাছে প্রথম দিকে মনে হয়েছে পারব, মাঝখানে মনে হয়েছে আমার হাত থেকে ম্যাচটা চলে গেছে, বললামতো ১৬ কোটি লোকের মতো ভালো কিছু করলে ভালো উদযাপন করি৷ সাকিব ভালো করেছে, তামিম ভালো করলেও তার রান আউটটা দুঃখজনক ছিল৷ তবে সবকিছু মিলে আমার বেটার লেগেছে৷ ভালো লেগেছে এটুকু বলতে পারি৷''

তবে তামিমের রান আউটে খুব কষ্ট পাওয়ার কথা কথা জানান এই অভিনেতা৷ ‘‘অনেক বোলার এই রকম দেখায় যে ঢিল মারবে, ঢিল মারে না৷ কিন্তু ৪৮ এ এসে রান আউট হওয়াটা কষ্ট লেগেছে৷ কারণ তামিমের খুব বাজে সময় যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ৪৮-এ রানআউট হওয়াটা পেইনফুল,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি৷

ফেসবুক পাতায় বাংলাদেশের দুই জেতানো নায়ক সাকিব ও লিটনের ছবি পোস্ট করে অভিনন্দন জানান নায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলি৷ সেখানে লেখা হয়, ‘‘অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল৷''