1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে আফগান শান্তি আলোচনা পিছিয়ে গেল

২১ এপ্রিল ২০২১

আগামী শনিবার তুরস্কে আফগান শান্তি আলোচনা শুরুর কথা ছিল। তা স্থগিত রাখা হয়েছে। তালেবান নিয়ে সংশয়ে অ্যামেরিকা।

https://p.dw.com/p/3sIyM
আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে আগের আলোচনা সফল হয়নি। ছবি: Getty Images/AFP/W. Kohsar

আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনায় আবার বাধা। আগামী শনিবার তুরস্কে আফগান সরকার ও তালেবানের প্রতিনিধিদের বৈঠকে বসার কথা ছিল। ওই আলোচনা হচ্ছিল জাতিসংঘ ও তুরস্কের উদ্যোগে এবং তা সমর্থন করছিল অ্যামেরিকা। তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, আলোচনা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের পর তা হতে পারে।

আর সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তালেবান অংশ নিচ্ছিল না বলে আলোচনা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।

তালেবানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে অ্যামেরিকা। মার্কিন জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি হাউস কমিটিকে বলেছেন, ''তালেবানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত তালেবান কী করে। যদি তারা আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়, তাহলে তাদের চুক্তি মেনে চলতে হবে।''

তিনি জানিয়েছেন, ''আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর প্রতিবেশী কোনো দেশে গোয়েন্দা রাখার বিকল্প ভাবনা অ্যামেরিকা খতিয়ে দেখছে। তাহলে সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের উপর নজর রাখা যাবে এবং কোনো বিপদ এলে তার দ্রুত মোকাবিলা করা যাবে।''

মার্কিন জেনারেল বলেছেন, তারা ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাবেন। তালেবানের কাজকর্মের উপরেও নজর রাখা হবে। তাদের চাপেও রাখা হবে।

আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা গিয়েছিল ২০০১ সালে। তারপর টানা ২০ বছর তারা সেখানে আছে। মার্কিন ইতিহাসে আফগানিস্তানের সংঘাত হলো সেদেশের দীর্ঘতম যুদ্ধের কাহিনি।

অ্যামেরিকার আফগানিস্তান অভিযানের পর পাঁচ বছরের তালেবান শাসনের অবসান হয়েছিল। বাইডেন এখন সেনা প্রত্যাহারের কথা বলায় প্রশ্ন উঠেছে, আফগানিস্তানে কি আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হবে? আবার কি সেখানে আল কায়দা, আইএসের মতো সংগঠনের প্রভাব বাড়বে?

ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, এই গোষ্ঠীগুলির উদ্দেশ্যই হলো অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো। তারা সেই উদ্দেশ্য থেকে সরে আসেনি।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)