1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে এক জার্মানের কারাদণ্ড

২৬ অক্টোবর ২০১৮

প্যাট্রিক কে-র পরিবার বলছে, তুরস্কে তিনি অবকাশ যাপন করছিলেন৷ অপরদিকে তুরস্ক বলছে, তিনি কুর্দিশ সন্ত্রাসী সংগঠনের হয়ে লড়ছিলেন৷ তাকে ছয় বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত৷

https://p.dw.com/p/37FmH
ছবি: picture alliance/dpa/B. von Jutrczenka

শুক্রবার আদালতে প্যাট্রিক কে নামের ওই ব্যক্তিকে আরো এক বছর আট মাসের স্থগিত সাজা দেওয়া হয়েছে সামরিক বাহিনীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশের অপরাধে৷

গত বছর থেকে বেশ কয়েকজন জার্মান নাগরিককে তুরস্কে বন্দি করা হয়, যা নিয়ে বার্লিন ও আঙ্কারার সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে৷তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গত ১৪ মার্চ প্যাট্রিককে গ্রেপ্তার করা হয়৷

তার বিরুদ্ধে কুর্দি বিদ্রোহীদের সংগঠন কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন ইউনিট উয়াইপিজির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-র পাশাপাশি এই সংগঠনটিকেও সন্ত্রাসী দল ঘোষণা করেছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ৷

প্যাট্রিক কে-ও স্বীকারোক্তিতে উয়াইপিজিতে যোগ দিতে চাওয়া এবং জার্মান সেনাবাহিনীতে বেশ কয়েক বছর চাকরি করার কথা বলেছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়৷

তবে কোন পরিস্থিতিতে তিনি ওই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোনো দোভাষী ছিলেন কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তুরস্কের কর্মকর্তারা৷

প্যাট্রিকের পরিবার বলছে, ২৯ বছর বয়সি এই যুবক সেই সময় পর্বতারোহনের জন্য ওই এলাকায় ছিলেন৷ এদিকে জার্মানির সশস্ত্র বাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্যাট্রিক কে কখনোই জার্মান সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন না৷ মাত্র তিন সপ্তাহ আগে তার বিচার শুরু হয়েছিল৷ এরই মধ্যে শুক্রবার তার সাজার রায় হলো৷

রায়ে ক্ষোভ জানিয়ে তার পরিবার বলেছে, প্যাট্রিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগে এই রায় দেওয়া হয়েছে তা ভিত্তিহীন৷

‘‘শুধু শুধু প্যাট্রিককে সাজা দেওয়া হয়েছে, যা খুবই বিস্ময়কর,’’ বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে বলেছেন তার এক বন্ধু৷ কারাদণ্ডের রায়ে প্যাট্রিকও চরম বিমর্ষ বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন৷

জার্মানির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী পেটার আল্টমায়ার দুই দিনের সফরে এখন তুরস্কে আছেন৷ তুরস্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্যাট্রিকের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷

২০১৬ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানের সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কয়েক হাজার মানুষকে ধরে কারাগারে পাঠায়৷ সে সময় জার্মানি-তুরস্কের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা অনেক ব্যক্তিকেও ধরা হয়৷

রেবেকা স্টাউডেনমায়ার/ এএইচ