1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে ভ্রমণরত জার্মানদের প্রতি সতর্কতা জারি

২৫ অক্টোবর ২০১৮

যেসব জার্মান তুরস্ক ভ্রমণ করছেন তাঁদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক হবার নির্দেশনা জারি করেছে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ এর্দোয়ানবিরোধী পোস্ট দেয়া বা তাতে লাইক দিলে গ্রেফতারের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/37AiB
ছবি: Imago/Zuma Press

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, যেসব জার্মান নাগরিক তুরস্ক ভ্রমণ করছেন বা করবেন তাঁরা যেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান সম্পর্কে কোনো বিরূপ মন্তব্য সামাজিক গণমাধ্যমে না করেন৷ তাতে গ্রেফতারের আশঙ্কা রয়েছে৷ এমনকি এর্দোয়ানবিরোধী কোনো পোস্টে লাইক দিলেও ‘খারাপ পরিণতি’ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেকে পর্যটককে স্বেচ্ছাচারীভাবে জেলে ঢোকানো হয়েছে

মন্ত্রণালয়ের সতর্ক বার্তা

‘‘এর আগে যেসব জার্মান নাগরিকের বিরুদ্ধে তারা গ্রেফতার ও আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে, তার কারণ ছিল, সেসব ব্যক্তির সামাজিক মাধ্যমে সরকারবিরোধী বক্তব্য৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমন বক্তব্য শুধু লাইক বা শেয়ার দেবার কারণেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে,'' মন্ত্রণালয়ের সতর্কতামূলক নির্দেশনায় বলা হয়েছে৷

জার্মান কর্মকর্তারা এ-ও বলছেন যে, এমনকি ব্যক্তিগত মেসেজও অজ্ঞাত সূত্রের মাধ্যমে তুর্কি কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে৷

এমনকি গুলেন বা কুর্দি মিলিশিয়াদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বললেও গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে৷ কারণ, এই সংগঠন দু'টোকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে তুরস্ক৷

বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি যদি ‘প্রেসিডেন্টকে গালমন্দ করেন’ অথবা ‘জঙ্গি সংগঠনগুলোর পক্ষে কথা বলেন’ তাহলে বছরের পর বছর জেলে থাকতে হতে পারে৷

তুরস্কে রাজনৈতিক বা যে কোনো সমাবেশ থেকে দূরে থাকতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি৷

ফোন জব্দ

মন্ত্রণালয় আরো বলেছে যে, ২০১৭ সালের শুরু থেকেই জার্মান নাগরিকদের যথাযথ কারণ ছাড়া তুরস্কে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না৷ অথচ অসংখ্য জার্মান নাগরিকের নিকটাত্মীয় ও পরিচিতরা তুরস্কে থাকেন৷ তাঁদের অনেকেই কুর্দি বা আলেভি বংশোদ্ভূত৷

জার্মান কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘‘এমনও হয়েছে যে, অনেককে কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত আটক রেখে জার্মানিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ এ সময়ে তাঁদের ফোন জব্দ করে তাতে কী আছে বা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এসব খতিয়ে দেখা হয়েছে৷’’

২০১৬ সালের জুলাইয়ে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ জন জার্মান নাগরিককে তুরস্কে আটক করা হয়েছে৷ তাঁদের কয়েকজনকে অবশ্য পরে ছেড়ে দেয়া হয়৷ এ বিষয়টি নিয়ে বার্লিন ও আঙ্কারার মধ্যে উত্তেজনাও বেড়েছে৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি, এএফপি)