1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভার্চুয়াল গোয়েন্দাগিরি

২০ জুন ২০১৬

গোয়েন্দা চরিত্র শার্লক হোমস শুধু আতশ কাচ দিয়েই অনেক কঠিন রহস্যের সমাধান করেছেন৷ আজকের প্রযুক্তিসর্বস্ব বিশ্বে তদন্তকারীদের হাতে একের পর এক নতুন অস্ত্র চলে আসছে৷ যেমন অকুস্থলের থ্রিডি প্রতিচ্ছবি৷

https://p.dw.com/p/1J9jS
Kölner Dom in 3D
ছবি: picture-alliance/dpa/Hochschule Fresenius

ফিতা ও পেনসিলের বদলে লেজার স্ক্যানার দিয়ে নিখুঁত পরিমাপ সম্ভব হচ্ছে৷ আলোর রশ্মি দেওয়াল বা আসবাবপত্রে প্রতিফলিত হয়ে এক ত্রিমাত্রিক ছবি সৃষ্টি করছে৷ সেই নিখুঁত প্রতিচ্ছবিতে কোনো সূক্ষ্ম বিশেষত্বই বাদ যায় না৷ গোয়েন্দা পুলিশ কর্মী স্টেফানি জনকে বলেন, ‘‘অকুস্থলে পৌঁছে চট করে বোঝা যায় না, সেখানে কী ঘটেছে, অপরাধ কীভাবে হয়েছে৷ প্রথমে সব ক্লু বা সূত্র খোঁজা হয়৷ তারপর অপরাধের ঘটনাক্রমের একটা ছবি ফুটে ওঠে৷ অর্থাৎ অনেক সময়ে ঘটনার অনেক পরে বোঝা যায় কোন বিষয়টা আসলে জরুরি৷''

তারপর কনট্রোল রুমে ফিরে কাজ শুরু হয়৷ লেজার স্ক্যানার থেকে পাওয়া তথ্য ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা ছবির সঙ্গে মিলিয়ে অকুস্থলের থ্রিডি ছবি সৃষ্টি করা হয়৷ পুলিশ ইনস্পেক্টর এবার সেই ভারচুয়াল ঘরের মধ্যে ঢুকে যে কোনো জায়গা থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, নিখুঁত মাপজোক করতে পারেন৷

অপরাধের রহস্য কিনারা করার কাজে এই থ্রিডি স্ক্যান তদন্তকারীদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে৷ এভাবে ভিডিও নজরদারির ছবির সঙ্গে লেজার পদ্ধতিতে নেওয়া তথ্যের মেলবন্ধন ঘটানো সম্ভব৷ অপরাধীকে এ ক্ষেত্রে ভারচুয়াল ‘অবতার' করে তোলা হচ্ছে৷ এভাবে তার উচ্চতা নির্ণয় করা যায়৷ তদন্তের কাজে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য৷

কম্পিউটারের পর্দায় এই থ্রিডি তথ্যের মূল্যায়ন অবশ্য প্রথম ধাপ৷ কার্লসরুয়ে ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ভিশুয়াল প্রযুক্তিকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে৷ সেখানকার ডেভেলপাররা এমন প্রযুক্তি সৃষ্টি করেছেন, যা দিয়ে অকুস্থলের থ্রিডি প্রতিচ্ছবি হুবহু ফুটিয়ে তোলা সম্ভব৷

কম্পিউটারের পর্দায় নয়, তদন্তকারীরা পায়ে হেঁটে ভার্চুয়াল অকুস্থলের হুবহু নকল এক জগতে ঘুরে বেড়াতে পারেন৷ এভাবে কার্যত অপরাধীর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা যায়৷ কোন দিক থেকে হামলা চালানো হয়েছিল, তাও নির্ণয় করা যায়৷

চশমা তদন্তকারীর নিখুঁত অবস্থান কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়৷ কম্পিউটার তখন সঠিক অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি প্রোজেক্ট করে৷ পদে পদে তা বদলে যায়৷

এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গুলির গতিপথ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ফুটিয়ে তোলা যায়৷ ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি চালানো হয়েছিল কিনা, এই পদ্ধতিতে সেই প্রশ্নেরও জবাব পাওয়া যায়৷ অপরাধ গবেষক ভিলি লার্ল বলেন, ‘‘এই দৃশ্য স্পষ্ট দেখিয়ে দিচ্ছে যে অপরাধী রেস্তোরাঁর মধ্যে ঢুকে শূন্যে অথবা খালি চেয়ারের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়নি৷ অতিথিদের দিকে লক্ষ্য করেই সে কাজটা করেছে৷ অর্থাৎ এক বা একাধিক মানুষ হতাহত হতে পারে, এটা তার জানা ছিল৷''

এই ভার্চুয়াল অকুস্থলের নেপথ্যে এক অভাবনীয় প্রযুক্তি কাজ করছে৷ প্রত্যেকটি শক্তিশালী প্রোজেক্টর সিনেমা হলের জন্য উপযুক্ত৷ শুধু তাই নয়, সঙ্গে ছ'টি ছোট আকারের প্রোজেক্টরও রয়েছে৷

এই প্রযুক্তিকে দ্রুত আরও নিখুঁত করার উদ্যোগ চলছে৷ অদূর ভবিষ্যতে তদন্তকারীরা আরও নির্ভরযোগ্যভাবে ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ করতে পারবেন এবং এই প্রক্রিয়ায় কোনো অপরাধ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পেতে পারবেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান