1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনা আতঙ্কে এ বার ভারতে বন্ধ হল একটি জার্মান কোম্পানির অফিস। এ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চীনে মৃত্যু আরও ১১৮ জনের।

https://p.dw.com/p/3Y6dF
ছবি: picture-alliance/AP Photo/K. Jun-boem

বিশ্ব জুড়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ভারতে নিজেদের তিনটি অফিস বন্ধ করে দিল জার্মান সফটওয়্যার কোম্পানি স্যাপ। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরুর দফতরে দুই কর্মীর সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ার পরেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী নোটিস না আসা পর্যন্ত সমস্ত কর্মীকে বাড়িতে বসেই কাজ করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে চীনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৭৫ হাজার। শুক্রবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আরও ১১৮ জনের। সংক্রমণ আরও ছড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই নোটিস দিয়ে ভারতে তাদের সমস্ত দফতর আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় স্যাপ। কর্মীদের বলা হয়, পরবর্তী নোটিস না আসা পর্যন্ত বাড়িতে বসেই কাজ করতে হবে। ভারতে স্যাপের সব চেয়ে বড় অফিস বেঙ্গালুরুতে। এছাড়াও মুম্বই এবং দিল্লির কাছে গুরগাঁওতে তাদের আরও দু'টি দফতর আছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরুর দফতরে দুই জনের শরীরে এইচ১ এন১ ভাইরাসের সংক্রমণ মেলে। যার অর্থ সোয়াইন ফ্লু। এর পরেই প্রতিটি দফতর বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বলা হয়েছে, প্রতিটি অফিস পরিষ্কার করা হবে। জীবাণুমুক্ত করা হবে। তারপর ফের অফিস খোলা হবে। বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক যখন তুঙ্গে, তখন স্যাপের এই সিদ্ধান্ত অভিনব। তবে যে দুই কর্মী সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা এর মধ্যে ভারতের বাইরে অন্য কোনও দেশে গিয়েছিলেন কি না, কী ভাবে তাঁদের এই অসুখ হল এ সব কোনও বিষয়েই কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে চায়নি।

এ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার প্রকোপ আরও বেড়েছে। শুক্রবারে দেশে আরও ৫২ জনের শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে বলে সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। এই নিয়ে ১৫৬ জন আক্রান্ত হলেন সেখানে। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণের শহর ডিগুতে করোনার প্রকোপ সর্বাধিক। শুক্রবার সে দেশের প্রশাসন ডিগু শহরটিকে করোনা ভাইরাসের স্পেশাল ম্যানেজমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পুরো শহরটিকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

চীনে এ দিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, চীনের পরিস্থিতি ক্রমশ আয়ত্ত্বে আসছে। অন্যদিকে চীনের প্রশাসন জানিয়েছে এপ্রিলের মধ্যে করোনার ওষুধ বাজারে নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।

এ দিকে বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে হিংসা ছড়ায় ইউক্রেনে। এ দিনই বিমানে করে চীন থেকে তাদের নাগরিকদের দেশে নিয়ে আসে ইউক্রেন। বিমান বন্দর থেকে বাসে করে তাদের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেই হাসপাতালেই আইসোলেশনে রাখা হবে তাদের। বাস থেকে নামিয়ে যখন তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখনই হাসপাতালের বাইরে জড়ো হওয়া জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এসজি/জিএইচ (এপি, রয়টার্স)