1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লিতে করোনা কেন্দ্রে নাবালিকা ধর্ষণ

২৭ জুলাই ২০২০

দিল্লিতে এক করোনায় আক্রান্ত নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশেও একইরকম ঘটনা ঘটেছে।

https://p.dw.com/p/3fx9A
ফাইল চিত্রছবি: Getty Images/Y. Nazir

এ বার করোনার জন্য তৈরি আইসোলেশন সেন্টারে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। আক্রান্ত নাবালিকা। দিল্লির এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ এসেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকেও। সেখানে অভিযুক্ত এক চিকিৎসক।

দিল্লিতে ছত্তরপুর অঞ্চলে এক বিশাল কোভিড সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। প্রায় দশ হাজার শয্যার সেই সেন্টারে এখন ২৫০ জন মতো ভর্তি আছেন। করোনা হওয়ার পরে যাঁদের পক্ষে বাড়িতে থাকা সমস্যা, তাঁরাই ওই সেন্টারে গিয়ে থাকছেন। আক্রান্ত ওই নাবালিকাও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ওই সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন। গোটা পরিবারই করোনায় ভুগছে। অভিযোগ, সেখানেই ওই নাবালিকার সঙ্গে আলাপ হয় এক যুবকের। সেও করোনায় আক্রান্ত। গত ১৫ জুলাই অভিযুক্ত যুবক কথা বলার জন্য নাবালিকাকে ডাকে। নাবালিকা শৌচাগারের সামনে পৌঁছলে তাঁকে জোর করে সেখানে ঢোকানো হয়। তারপর দুই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরে অভিযুক্ত দুই যুবককেই গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে। নাবালক এবং নাবালিকাদের উপর যৌন হেনস্থা করলে সাধারণত পকসো আইনে মামলা হয়। মামলাও দ্রুত হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কোভিড সেন্টারের মতো জায়গায় কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল? কেন সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী নেই?

প্রশাসনের বক্তব্য, প্রতিটি কোভিড সেন্টারেই যথেষ্ট নিরাপত্তা আছে। কিন্তু শৌচাগারের সামনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। সেই সুযোগই ব্যবহার করেছে অভিযুক্ত দুই যুবক। প্রতিটি কোভিড সেন্টারে এর পর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশের আলিগড়েও করোনার রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বছর পঁচিশের এক নারী বাইরে থেকে আলিগড়ে এসেছিলেন। সেখানে তাঁর করোনার উপসর্গ দেখা গেলে তিনি স্থানীয় হাসপাতালে যান। যে ডাক্তার তাঁর চিকিৎসা করছিলেন, তিনিই ওই নারীর যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আবাপ)