1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলনে ‘ঐতিহাসিক' চুক্তি?

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

জাতিসংঘের জলবায়ু সম্পর্কিত বাৎসরিক সম্মেলন কপ-এর ২৮তম আসরে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷ প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা এই চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন৷ তবে সমালোচনাও চলছে৷

https://p.dw.com/p/4a6iS
কপ২৮-এর শেষ অধিবেশন
কপ-এর ২৮তম আসরে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়া হয়েছেছবি: Amr Alfiky/REUTERS

জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপের এবারে আসর বসেছিল আরব আমিরাতের দুবাইয়ে৷ সেখানে সম্মেলনের শেষ দিনে ‘ট্রানজিশন অ্যাওয়ে' চুক্তি সইয়ে একমত হয়েছেন প্রায় দুইশ' দেশের প্রতিনিধিরা৷ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসাই এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য৷

এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক' বলে উল্লেখ করেছে আয়োজক দেশ আরব আমিরাতের শিল্প ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং কপ ২৮-এর সভাপতি সুলতান আল-জাবের৷

এর আগে গ্লাসগো ও শার্ম আল শাইখে কপের আসরে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার জন্য ‘ফেজ আউট' ও ‘ফেজ ডাউন' শব্দগুলো ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক হয়৷ এই সম্মেলনে সেই বিতর্ক এড়াতে ‘ট্রানজিশন অ্যাওয়ে' শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে৷

চুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছে অনেক দেশ৷ বিশেষ করে জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় উৎপাদক দেশগুলোর অন্যতম সৌদি আরব স্বাগত জানিয়েছে৷ তবে এর সমালোচনাও করছেন অনেকে৷

জলবায়ু পরিবর্তনের বেশি ঝুঁকিতে থাকা গরিব দেশগুলোর মধ্যে এই চুক্তি নিয়ে শঙ্কা আছে৷ যেমন, সম্মেলনে পলিনেশীয় দেশ সামোয়া বলেছে, তারা প্রতিবাদ জানাবার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়নি৷

বিশ্লেষকরাও তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন৷ ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল ক্যানের গ্লোবাল পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজির প্রধান হারজিৎ সিং ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, এ চুক্তির মধ্য দিয়ে অবশেষে জলবায়ু সংকটের মূল হোতা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর আলো পড়েছে৷

হারজিৎ সিংয়ের ফাইল ছবি
‘একটা দিকনির্দেশনা বহুদিন আগেই দরকার ছিল,’ বলেন ক্যান ইন্টারন্যাশনালের হারজিৎ সিংছবি: Ian Forsyth/Getty Images

‘‘কয়লা, জ্বালানি তেল ও গ্যাস থেকে সরে আসার জন্য একটা দিকনির্দেশনা বহুদিন আগেই দরকার ছিল,'' বলেন তিনি৷ তবে চুক্তিতে অনেক ফাঁক রয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি৷

হারজিৎ বলেন, ‘‘এর মধ্যে অনেকগুলো ফাঁক রয়েছে, যা দিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পগুলো বেরিয়ে যেতে পারবে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘উন্নত দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের কপটতা বেরিয়ে এসেছে, যারা জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছে, অথচ তারা সবুজ পরিবর্তনে খুবই কম বিনিয়োগ করছে৷ আর উন্নয়নশীল দেশগুলো- যারা উৎপাদন, আয়, কর্মসংস্থান এসবের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল- তাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের জন্য জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা জরুরি৷''

তবে বাংলাদেশের মত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো অবশ্য অভিযোজনের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷ এ বিষয়ে সম্মেলনে বাংলাদেশের দূত সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘‘অভিযোজন হলো জীবন-মরণের ব্যাপার৷ আমরা অভিযোজনে কোন আপস করতে পারি না৷ আমরা জীবন ও জীবিকার বিষয়ে আপস করতে পারি না৷''

তথ্যচিত্র: উপকূলে চার নারী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য