1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্মনিন্দার অভিযোগে পাকিস্তানে ফাঁসির সাজা

৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

ধর্মনিন্দার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির সাজা শোনালো পাকিস্তানের আদালত। অভিযুক্ত ব্যক্তি খ্রিস্টান।

https://p.dw.com/p/3iBtD
ছবি: AFP/Str

অভিযোগ ধর্মনিন্দার। পাকিস্তানে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলো এক  ক্রিশ্চান ব্যক্তিকে। ৩৭ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইসলাম নিয়ে 'অন্যায়' এবং 'অবমাননাকর' মন্তব্য করেছেন তিনি। যদিও ওই ব্যক্তির আইনজীবীর দাবি, ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে না চাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মনিন্দার অভিযোগ করা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এ বার লাহোরের উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন আসিফ পারভেজ। তিনি খ্রিস্টান। ২০১৩ সালে সেই পোশাক কারখানার মালিকই পারভেজের নামে প্রথম ধর্মনিন্দার অভিযোগ দায়ের করেন। বলা হয়, মোবাইল থেকে ইসলামের নামে অবমাননাকর মেসেজ পাঠিয়েছেন আসিফ। কিছুদিনের মধ্যেই ধর্মনিন্দার আইনে গ্রেফতার করা হয় আসিফকে। প্রাথমিক ভাবে আদালত তাঁকে তিন বছর কারাবাসের শাস্তি দেয়। বলা হয়, ধর্মনিন্দায় মোবাইল ব্যবহারের জন্য এই সাজা। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া সেখানেই থেমে থাকেনি। প্রায় সাত বছর ধরে বিচার চলার পরে মঙ্গলবার আদালত তাঁকে ফাঁসির সাজা দেয়। একই সঙ্গে ৫০ হাজার পাকিস্তানি রুপি জরিমানাও করে।

#জাস্টিসফরমাশাল: পাকিস্তানে ধর্মনিন্দা আইনের সমালোচনা

আসিফের আইনজীবী জানিয়েছেন, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে লাহোরের উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। তাঁর অভিযোগ, আসিফ ধর্ম পরিবর্তনে রাজি না হওয়ায় তাঁর মালিক ধর্মনিন্দার অভিযোগ করেছিলেন। আসিফকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে।

কিছুদিন আগেই ধর্মনিন্দার বিচার চলাকালীন পাকিস্তানের একটি আদালতে এক মার্কিন নাগরিককে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। হত্যাকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তাঁকে ছাড়া দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছে পাকিস্তানের বেশ কিছু ধর্মীয় সংগঠন। অন্য দিকে অ্যামেরিকা ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।

ধর্মনিন্দা আইন নিয়ে পাকিস্তানের বেশ কিছু অধিকাররক্ষা সংগঠনও সরব। তাদের বক্তব্য, আইনটি বিতর্কিত। নানা কারণে ওই আইনটিকে অন্যায় কাজে ব্যবহার করা হয়। অনেকেরই দাবি আইনটি তুলে দেওয়া হোক। কারও কারও দাবি আইনটির সংস্কার হোক।

এসজি/জিএইচ (ডিডাব্লিউ)