1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাগর্নো-কারাবাখ ছেড়ে পালাচ্ছেন গৃহহীন মানুষ

৮ অক্টোবর ২০২০

দুই দেশের যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গুলি বোমায় বিধ্বস্ত নাগর্নো-কারাবাখের মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন।

https://p.dw.com/p/3jbBZ
ছবি: Aziz Karimov/Reuters

যুদ্ধ বন্ধের এখনো কোনো ইঙ্গিত নেই। এগারো দিনে প্রবেশ করল নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের যুদ্ধ। তারই মধ্যে কারাবাখের স্বাধীন সরকার জানিয়েছে, তাদের প্রধান শহর স্টেপানকিয়ার্টের অর্ধেকরও বেশি মানুষ এখন গৃহহীন। যুদ্ধ বন্ধের জন্য ফের সওয়াল করেছে রাশিয়া, ফ্রান্স এবং অ্যামেরিকা। ন্যাটোর তরফেও দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দেশই লড়াই থামানোর ইঙ্গিত দেয়নি।

কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে কারাবাখের মূল শহর। সেখানকার স্থানীয় সরকারের বক্তব্য, হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। শহর জুড়ে পড়ে রয়েছে বোমা। বহু বোমা না ফাটা অবস্থায় রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে। যখন তখন বিস্ফোরণের আশঙ্কা। বহু বাড়ি বোমার আঘাতে ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর্মেনিয়ার হিসেব অনুযায়ী নাগর্নো-কারাবাখে প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বহু সাধারণ মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারই মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত। আর্মেনিয়া এখনও আজারবাইজানের বিভিন্ন শহরে গোলাবর্ষণ করছে। আজারবাইজানও শেলিং চালিয়ে যাচ্ছে।

ইরান আগেই জানিয়েছিল, যে ভাবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে যে কোনো দিন তা আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। দুই দেশের যুদ্ধে অন্য দেশের যোদ্ধারাও যোগ দিচ্ছেন বলে ইরানের দাবি। সিরিয়া ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে, তাদের দেশের বেশ কিছু যোদ্ধা আজারবাইজানের হয়ে লড়াই করছে। তুরস্কও যুদ্ধে সরাসরি যোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত অবস্থার পরিবর্তনের জন্য বৈঠকে বসতে পারে অ্যামেরিকা, ফ্রান্স এবং রাশিয়া। জার্মানিও যুদ্ধ বন্ধের জন্য আবেদন করেছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস এ বিষয়ে জার্মান পার্লামেন্টেও আলোচনা করেছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন জানিয়েছেন, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেই তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। বস্তুত, এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল দুইটি দেশ। আর্মেনিয়ার সঙ্গে এখনও রাশিয়ার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, প্রয়োজনে রাশিয়া তাঁদের রক্ষা করবে। পুটিন জানিয়েছেন, দুই দেশের কাছেই যুদ্ধ বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়া দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করতেও রাজি। ন্যাটোর তরফেও যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)