1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাগর্নো কারাবাখে ঘরে ফিরছেন সাধারণ মানুষ

২৩ নভেম্বর ২০২০

যুদ্ধের সময় পালিয়ে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। ফের তাঁরা নাগর্নো-কারাবাখে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

https://p.dw.com/p/3lhDg
নাগর্নো-কারাবাখে রাশিয়ার সেনা
ছবি: Press Office President of Azerbaijan/REUTERS

ছয় সপ্তাহের যুদ্ধে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন বহু মানুষ। পালানোর সময় নিজেদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। যুদ্ধ শেষে ফের নাগর্নো-কারাবাখে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর নাগরিকরা। গত কিছু দিনে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর নেতারা। এতদিন তাঁরাই নাগর্নো-কারাবাখ শাসন করতেন।

নাগর্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার মদতে তৈরি বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকারের প্রধান আরাইক হারুতুনিয়ান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধের সময় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের ঘর ভেঙে গিয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে এই অঞ্চলে দেড় লাখ মানুষের বাস। তার মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ গত এক সপ্তাহে এলাকায় ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন আরাইক। আরও মানুষ ফিরছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বাসা পুড়িয়ে ভিটামাটি ছাড়ছেন আর্মেনীয়রা

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে কী ভাবে সাহায্য করা যায়, তা নিয়ে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন তিনি। আর্মেনিয়া সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। নতুন করে ঘর তৈরি করা, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, যে সমস্ত যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে সাহায্য করা, পঙ্গু হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানো-- ইত্যাদি বিবিধ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আরাইক। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, আর্মেনিয়ার সরকার সমস্ত বিষয়েই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় রাশিয়া, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুই দেশের যুদ্ধ। যদিও আর্মেনিয়ার দাবি, চুক্তিতে আজারবাইজানের লাভ হয়েছে। চুক্তির বয়ানে বলা হয়েছে, যুদ্ধের পর যে যেখানে রয়েছে, সেই অংশ তারই দখলে থাকবে। যুদ্ধে নাগর্নো-কারাবাখের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আজারবাইজান পেয়ে গিয়েছে। মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এখন আজারবাইজানের হাতে। সেই সমস্ত অঞ্চলে এক এক করে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করছে আজারবাইজান। তবে আজারি ফৌজ যাতে গির্জা এবং অঞ্চলের পুরনো স্থাপত্য ধ্বংস না করে, তার দিকে খেয়াল রাখছে রাশিয়ার সৈন্য।

অন্য দিকে আর্মেনিয়ার মদতপুষ্ট নাগর্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকারের হাতে যে এলাকা আছে, সেখানে ফিরে আসা মানুষদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরো মানুষ এলাকায় ফিরবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক ভাবে নাগর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ বলেই স্বীকৃত। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই তা আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর দখলে। তারা সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। যা আর্মেনিয়ার মদতে চলে। এ বারের যুদ্ধে আজারবাইজান নিজেদের জমি অনেকটা পুনরুদ্ধার করতে পারলেও, সবটা দখল করতে পারেনি।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, আর্মেনিয়ায় যে ভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তাতে দীর্ঘদিন শান্তি বজায় রাখা যাবে বলে মনে হচ্ছে না। ফের অশান্তির সম্ভাবনা যথেষ্ট।

এসজি/জিএইচ (শামিল শামস)