1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজঅস্ট্রেলিয়া

নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপ : সেদিন আর কত দূরে?

৩০ জুলাই ২০২৩

পুরুষদের চেয়ে ৬১ বছর পর বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেও অগ্রগতির দ্রুততায় কিন্তু বিস্ময় জাগাচ্ছে নারীরাই৷ তাই মাঠে এবং মাঠের বাইরের সব ক্ষেত্রেই নারী অচিরেই সমান বা অগ্রগণ্য হবেন- এমন আশা কিন্তু খুব অমূলক নয়৷

https://p.dw.com/p/4UYJq
প্রতি আসরে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবার সম্ভাবনায় নারীদের বিশ্বকাপ আসলে পুরুষদের বিশ্বকাপের চেয়ে অনেক এগিয়ে
প্রতি আসরে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবার সম্ভাবনায় নারীদের বিশ্বকাপ আসলে পুরুষদের বিশ্বকাপের চেয়ে অনেক এগিয়েছবি: Alexander Bogatyrev/Imago Images

সেরকম সুদিনের উজ্জ্বল আশা জাগিয়েই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে শুরু হয়েছে নারীদের বিশ্বকাপের নবম আসর৷ ৩২টি দেশের শ্রেষ্ঠত্বের এ লড়াইয়ে থাকছে নতুন আটটি দেশ হাইতি, মরক্কো, পানামা, ফিলিপাইন্স, পর্তুগাল, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং জাম্বিয়া৷ ফুটবলের সেরা আসরে প্রথম এসেই চমক দেখাতে শুরু করেছে নতুনেরা৷ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দলকে মরক্কোর হারিয়ে দেয়া সেরকমই এক চমক৷

বরাবরের মতো এবারও স্বাগতিক দেশের প্রায় সব ম্যাচেই গ্যালারিতে থাকছে উপচে পড়া ভিড়৷ ভিড় থাকছে অন্য ম্যাচেও৷ তাই এবারের প্রথম ১৬ ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত গত আসরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে৷ এবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম ১৬ ম্যাচে মোট দর্শক হয়েছে চার লাখ ৫৯ হাজার ৫৭৪ জন – ২০১৯ সালে ১৬ ম্যাচে দর্শক ছিল এর চেয়ে অন্তত ৫৪ শতাংশ কম! টিকিটের চাহিদা এবং দর্শকের এমন উপস্থিতি দেখে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও অবাক৷ বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় ও আনন্দ প্রকাশ করে আয়োজক দুই দেশকে এরইমধ্যে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি৷

বিশ্বের অন্তত ২০০টি দেশে ১৩০টি সম্প্রচার মাধ্যমফুটবলপ্রেমীদের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে নারীদের বিশ্বকাপের ম্যাচ৷ ম্যাচ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন সবাই৷ প্রতিদিন পর্দায় চোখ রাখছেন নতুন করে মুগ্ধ হবার আশা নিয়ে৷

সুদিনের উজ্জ্বল আশা জাগিয়েই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে শুরু হয়েছে নারীদের বিশ্বকাপের নবম আসর
সুদিনের উজ্জ্বল আশা জাগিয়েই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে শুরু হয়েছে নারীদের বিশ্বকাপের নবম আসরছবি: Matt Turner/Imago Images

ম্যাচ পরিচালনাতেও এবার থাকছে নতুনের ছোঁয়া৷ নারীদের ফুটবলে এবার নারী রেফারি থাকছেন চারজন- চেরিল ফস্টার ( ওয়েলস), স্টেফানি ফ্রাপার্ট (ফ্রান্স), মার্তা উয়ের্তা দে আসা (স্পেন) এবং লিনা লেহতোভারা (ফিনল্যান্ড)৷

এত রেকর্ড, এত নতুনের এ আসর কি এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে পারে? সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না মোটেই৷ এটা ঠিক, ১৯৯১ সালে চীনে মেয়েদের বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে এখানে যুক্তরাষ্ট্রের বলতে গেলে একক দাপটই লক্ষ্য করা গেছে৷ গত আট আসরের চারটিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া যুক্তরাষ্ট্র এবারও টপ ফেভারিট৷ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, একবার করে বিশ্বসেরা হওয়া নরওয়ে ও জাপানও রয়েছে ফেভারিটের তালিকায়৷ ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশে থাকা সুইডেন, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, ক্যানাডা, ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়াকেই বা বাদ দেবেন কিভাবে?

প্রতি আসরে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবার সম্ভাবনায় নারীদের বিশ্বকাপ আসলে পুরুষদের বিশ্বকাপের চেয়ে অনেক এগিয়ে৷ পুরুষদের আসরে এশিয়ার কোনো দেশ এখনো যেখানে ফাইনালেই যেতে পারেনি, নারীদের বিশ্বকাপে জাপান সেই কৃতিত্ব অর্জন করেছে ১২ বছর আগে৷

পুরুষদের আসরে নরওয়ে তো দূরের কথা, যুক্তরাষ্ট্রেরও সেমিফাইনালে ওঠা প্রায় চন্দ্রাভিযানের মতো কষ্টসাধ্য, নারীদের আসরে দুটি দেশই কিন্তু পরাশক্তি৷ ফলে এবারও যে নতুন কোনো দেশের নারীরা বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন না তা কে বলতে পারে!

এসিবি/ এফএস (ফিফা ডটকম, গোল ডটকম, রয়টার্স, এপি)