1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিউজিল্যান্ডে এখনও নিখোঁজ ৮

১০ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজিল্যান্ডের একটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ ৮জন। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বহু। ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

https://p.dw.com/p/3UWLF
ছবি: INSTAGRAM@ALLESSANDROKAUFFMANN Reuters/Instagram/AllessandroKauffmann

অগ্নুৎপাতের পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু এখনও হদিস নেই ৮ পর্যটকের। নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ডে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সে দেশের সরকার। মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৫। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বহু।

Vulkanausbruch auf neuseeländischer Insel
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Gibson

নিউজিল্যান্ডের সময়ে সোমবার দুপুরে আচমকাই অগ্ন্যুৎপাত হয় দেশের উত্তর পূর্বে সমুদ্রের মাঝখানে অবস্থিত একটি দ্বীপে। মূল ভূখণ্ড থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। সূত্রের খবর অগ্ন্যুৎপাতের সময় ওই দ্বীপে ছিলেন অন্তত ৪৮ জন পর্যটক। ঘটনার পরেই সেখান থেকে ৩১ জন পর্যটককে উদ্ধার করে দ্রুত মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে দেশের প্রধানমন্ত্রী জানান, ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭১ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গিয়েছে বেশ কিছু পর্যটকের। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিখোঁজ পর্যটকদের খুঁজতে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চলছে।

মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ড প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, এখনও নিখোঁজ ৮ জন পর্যটক। তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। প্লেন নিয়ে গোটা দ্বীপটি তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছে। তবে অগ্ন্যুৎপাতের পরে এলাকাটি এতটাই বিপজ্জনক হয়ে আছে যে সেখানে নেমে তল্লাশি অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

মৃত, আহত এবং নিখোঁজ পর্যটকেরা বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছিলেন। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এবং চীনের বহু পর্যটক সেখানে ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের প্রশাসন ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কী ভাবে আগাম সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও পর্যটকেরা সেখানে পৌঁছেছিলেন তা বুঝতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে বেশ কয়েকটি পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এ দিনও সমবেদনা জানিয়েছেন মৃতদের পরিবারের প্রতি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আহতরা যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান, তার ব্যবস্থা করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার।

এসজি/জিএইচ(ডিডব্লিউ/এএফপি)