1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান কিম জং উন

২৫ এপ্রিল ২০১৯

কোনো দেশের চাপে নয়, আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমেই কেবল পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সম্ভব, বলে মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ তাঁর দাবি, একই মত উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনেরও৷

https://p.dw.com/p/3HQWE
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Sharifulin

প্রথম রাশিয়া সফরে গিয়ে বৃহস্পতিবার ভ্লাদিভস্তক শহরে পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করেন উন৷ এরপর পুটিন বলেন, উত্তর কোরিয়া ‘‘নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের নিশ্চয়তা চায়৷''

‘‘আমাদের আন্তর্জাতিক আইনের শক্তি প্রয়োগ করে একটা অবস্থায় পৌঁছাতে হবে, যেখানে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের আইন নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইন বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে,'' বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট৷

পুটিন বলেন, তিনি উনের সঙ্গে এই বৈঠক নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গেও আলোচনা করবেন৷ ‘‘এখানে লুকোচুরির কোনো বিষয় নেই, কোনো ষড়যন্ত্রের অবকাশ নেই... চেয়ারম্যান কিম এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করার অনুরোধ করেছেন,'' বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট৷

পুটিন বলেন, তাঁর নিজের ও রাশিয়ার স্বার্থের সঙ্গে মার্কিনিদের স্বার্থের কোনো দ্বন্দ্ব নেই৷ কারণ তাদের লক্ষ্য একটাই, সেটি হলো পরমাণু ‘নিরস্ত্রীকরণ'৷ ‘‘নর্থ কোরিয়ার নেতাও আমাকে বলেছেন যে, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিও একই,'' বলেন পুটিন৷ তবে তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে, এইটুকুই৷ ‘‘আমার মনে হয়, আমরা এ বিষয় নিয়ে ভাবতে পারি,'' বলেন পুটিন৷

কোণঠাসা হলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্তর কোরিয়া যে একা নয়, সে দেশের নেতা কিম জং উন আবার তা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন৷ প্রতিবেশী ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশ চীনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের পাশাপাশি আরেক প্রতিবেশী রাশিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বদ্ধপরিকর উন৷

সেই উদ্যোগের আওতায় তিনি বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তক শহরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসেছিলেন৷ পুটিন তাঁকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷ আলোচনা শেষে উভয়কেই বেশ খোশমেজাজে দেখা গেছে৷

বুধবার উন ট্রেনে করে স্থলসীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়া পৌঁছান৷ সীমান্তে খাসান শহরে রাশিয়ার সরকার তাঁকে সাড়ম্বরে স্বাগত জানায়৷ বুধবার রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি ত্রুটনেভ কিম জং উন-এর সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন৷ শুক্রবারই উনের দেশে ফেরার কথা৷

জেডএ/জেডএইচ (এএফপি, এপি)