1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনের আগে খাবারের দাম উর্দ্ধমুখী

সাগর সরওয়ার, ঢাকা থেকে২৬ ডিসেম্বর ২০০৮

ঢাকার পরিচিত চেহারা বদলে গেছে৷ শুক্রবার ঢাকায় নেমেই চোখে পড়লো সারি সারি সাদা কালো পোষ্টার৷ ২০০১ কিংবা ১৯৯৬ সালের নির্বাচন যারা দেখেছেন, তারা নিশ্চয়ই বাহারী পোষ্টারের কথা বেশ মনে রেখেছেন৷

https://p.dw.com/p/GNaV
ঢাকায় খাদ্য বিশেষ করে তরিতরকারী আর সব্জির দাম বেড়ে গেছেছবি: AP

এবার তেমনটি নয়৷ এবার এক একজন প্রার্থী তাদের পোষ্টার সাধারণত একই ডিজাইনে করেছেন৷ দুটো নয়৷ দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টার সাঁটানোর সংখ্যাও বেশ কম৷

পুরো বাংলাদেশ এখন ভাসছে নির্বাচনী জোয়ারে৷ বহুল আকাঙ্খিত এই নির্বাচন৷ মজার বিষয়টি হলো ভোটাররা এখন দুই দলের নেত্রীর কথা শুনছেন, দুই নেত্রীর কেউ বলছেন ষড়যন্ত্রের কথা আবার কেউবা বলছেন অপর দলের ভয় পাবার কথা৷ প্রথমে মনে করা হয়েছিল হয়তোবা এবার ফি বারের মত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হবে না৷ কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি৷ ভোটারা সে সব কথা শুনছেন... আর অপেক্ষা করছেন নিজেদের রায় দেবার দিনের জন্য৷

Bangladesch Wahlen 2008
পুরো বাংলাদেশ এখন ভাসছে নির্বাচনী জোয়ারেছবি: Mustafiz Mamun

ঢাকায় নেমেই প্রথম অভিযান কাওরান বাজার এবং কাঁচা বাজার৷ এখানে যাবার কারণ গত কয়েকদিনে নাকি শ্রমিক এবং পরিবহন সংকট হয়েছে৷ আর এই সংকটের কবলে পড়ে খাদ্য বিশেষ করে তরিতরকারী আর সব্জির দাম বেড়ে গেছে৷ এখানেই কথা হলো আড়তদার আব্দুল হালিমের সঙ্গে৷ গালে সাদা লম্বা দাড়ি৷ তাতে হাত বুলাতে বুলাতে বললেন... টমেটোর দাম কেজি প্রতি দুই টাকা বেড়েছে৷ আগে ছিল ১৫ টাকা৷ এখন হয়েছে ২০ টাকা৷ এক লাফে কেজি প্রতি ৫ টাকা৷ কারণ কি এ প্রশ্নের উত্তরে জানা গেলো দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে টমেটো আসা কমে গেছে৷ ময়মনসিংহ থেকে যে টমেটো আসছে না ট্রাক থেকে খালাস করতেও এখন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে ন৷

শ্রমিকরা কোথায় গেলো? কুলি মজুরের কাজ করে কিশোর রহমান৷ এক গাল হেসে সে জানলো, বেশিরভাগই তাদের গ্রামের বাড়ি চলে গেছে৷ সেখানে নির্বাচনী মিছিল করছে৷ বাড়িতে বসে কিছু আয় রোজগারও হচ্ছে৷ নির্বাচন শেষ করে সকলে চলে আসবে৷

তবে বিভিন্ন ভোজ্য তেল কারখানায় শ্রমিক কম থাকায় উৎপাদনও গেছে কমে৷ আর এ কারণেই গত সপ্তাহের তুলনায় তেলের মূল্য লিটারে ৫টাকা ও ৫ লিটারের বোতলে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশী বিক্রি হচ্ছে৷

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল কন্ট্রোল রুম জানালো, গত বৃহস্পতিবার ঈদের পরে সবচেয়ে বেশি মানুষ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে চলে গেছে৷

ঢাকায় একটি ব্যাংকে কাজ করেন গুলজার হোসেন৷ সরকারী এ ব্যাংক কর্মকর্তা জানালেন, মানুষ কেন জানি এখন লেনদেন তেমন করছে না৷ হয়তো অপক্ষো করছে পরবর্তী সরকারের জন্য৷ আর প্রার্থীদেরও টাকা তোলার হিড়িক তেমন নাই বলেই জানা যাচ্ছে৷ এর কারণ হিসাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, এনবিআর এবার খুবই শক্ত অবস্থান নিয়েছে৷ তাদের মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি কর্মকর্তা প্রার্থী এবং তাদের নিকট আত্নীয়দের উপর কড়া নজরদারী রেখেছে৷