1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনের আগে জার্মানির মুখ্য দল দু’টিতে অভ্যন্তরীণ বিভেদ

১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯

২৭শে সেপ্টেম্বর জার্মানিতে বুন্ডেস্টাগ, অর্থাৎ সংসদীয় নির্বাচন৷ কিন্তু তার আগে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে খৃষ্টীয় ইউনিয়ন দলগুলিতে, এবং নির্বাচন পরবর্তী জোট নিয়ে সামাজিক গণতন্ত্রী দলে বিভেদ দেখা দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/JiUl
জার্মান অর্থমন্ত্রী পেয়ার স্টাইনব্রুকছবি: AP

বলতে কি, বিভেদের সূচনা গত রবিবার খৃষ্টীয় গণতন্ত্রী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং তাঁর সামাজিক গণতন্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বী তথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারের মধ্যে টেলিভিশন বিতর্ক থেকে৷ ঐ ‘ডুয়েলে’ দু’পক্ষই যেভাবে পরষ্পরকে রেয়াত করে চলেছেন, তা’তে বাভারিয়ায় খৃষ্টীয় গণতন্ত্রীদের ‘ভগিনী দল’ খৃষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন বা সিএসইউ আদৌ সুখী নয়৷ তার ওপর আবার ম্যার্কেল মন্ত্রীসভায় সামাজিক গণতন্ত্রী অর্থমন্ত্রী পেয়ার স্টাইনব্রুক একটি সাক্ষাতকারে বর্তমান ‘বৃহৎ জোট’ চালিয়ে যাবার ধুয়ো তোলার পর, সিএসইউ-প্রধান হর্স্ট সেহোফার ডাক দিয়েছেন, সিএসইউ, সিডিইউ মিলে নির্বাচনের পরের ১০০ দিনের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক কর্মসূচী ঘোষণা করুক, যা’তে সামাজিক গণতন্ত্রীদের সঙ্গে তফাৎটা - এবং মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি’র সঙ্গে সাদৃশ্যটা পরিষ্কার হয়ে যাবে৷ মুশকিল এই, যে বার্লিন থেকে সিডিইউ জানিয়েছে, তারা এই ধরণের প্রাক-নির্বাচনী পদক্ষেপের কোনো প্রয়োজন দেখে না৷ এবং এই প্রত্যাখ্যান শুধু সিএসইউ এবং হর্স্ট সেহোফারের জন্যই নয় বলে মুক্ত গণতন্ত্রীরা মনে করতে পারে!

স্টাইনব্রুকের ঢিল ছোঁড়া

এর আগেই বিপদটা ঘটিয়েছেন পেয়ার স্টাইনব্রুক৷ তিনি একটি সাক্ষাতকারে বলে বসেন, যে ‘লাল’ সামাজিক গণতন্ত্রীদের ‘হলুদ’ মুক্ত গণতন্ত্রী এবং সবুজদের সঙ্গে তথাকথিত ‘ট্র্যাফিক লাইট’ জোট গড়ার সম্ভাবনা কম, কেননা মুক্ত গণতন্ত্রীরা তার বিরোধী৷ কাজেই লাল-সবুজরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে, চলতি ‘বৃহৎ জোটেই’ বা আপত্তি কিসের? স্টাইনব্রুকের এই মন্তব্যে শুধু জার্মান ভোটাররাই যে চমকে যায়, এমন নয়, এসপিডি’র মধ্যেও তর্ক শুরু হয়৷ অবশ্য স্টাইনব্রুক পরে আবার লাল-হলুদ-সবুজের সপক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন৷ এবং এসপিডি প্রধান ফ্রানৎস মুইন্টেফেরিং তো প্রকাশ্যে এবং বেশ প্রত্যয়ের সঙ্গেই এফডিপি’কে রাজী করানোর স্বপ্ন দেখছেন৷

প্রচার চলবে, বিতর্ক বাদ

ওদিকে এসপিডি’র চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী স্টাইনমায়ার চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সঙ্গে তাঁর নরম-গরম টেলিভিশন দ্বন্দ্বযুদ্ধের পর এখন যেন আবার গরমের দিকে ঝুঁকছেন, অর্থাৎ একাধিক মন্তব্যে ম্যার্কেলকে আক্রমণ করেছেন: যথা ম্যার্কেলের নির্বাচনী প্রচার অভিযান লক্ষ্য, ধারণা এবং মর্মশূন্য ইত্যাদি৷ ম্যার্কেল আরেকটা চমক দিয়েছেন, নির্বাচনের আগে আর কোনো ধরণের টেলিভিশন বিতর্কে তিনি অংশগ্রহণ করবেন না, এ-কথা জানিয়ে৷ ফলে স্টাইনমায়ারও জানিয়েছেন, যে তিনি ম্যার্কেলের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে বিতর্কে নামতে রাজী নন৷ এবং টিভি’তে প্রচারের এমন একটা সুযোগ ফসকে যাওয়ায় ছোট দলগুলো ফুঁসছে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম