‘নির্যাতনের শঙ্কা থাকলে কেউ ফেরত যাবে না'
১০ জানুয়ারি ২০১৮জার্মানির ফেডারাল সাংবিধানিক আদালত মঙ্গলবার কার্লসরুহেতে রায় দেন যে, স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর শারীরিক নিপীড়নের আশঙ্কা থাকলে কোনো ব্যক্তিকে বহিষ্কার করা চলবে না৷
আদালত বলেন যে, কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট দেশটির কাছ থেকে ‘‘যথোপযুক্ত আশ্বাস' পেতে হবে, যার আঙ্গিকে বহিষ্কারের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ‘শারীরিক নিপীড়ন ও (তার প্রতি) অমানবিক আচরণের সম্ভাবনা কার্যকরিভাবে নাকচ করা চলবে৷''
বার্লিন থেকে কার্লসরুহে
আপিল করেছিলেন এক তুর্কি নাগরিক, যার জন্ম জার্মানিতে:-
- ২০১৫ সালে বার্লিনের এক আদালত জার্মানিতে জন্ম নেয়া ঐ তুর্কি সালাফিকে একটি সিরীয় সন্ত্রাসী সংগঠনকে সাহায্যের অপরাধে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন;
- ২০১৬ সালে জার্মানির অভিবাসন দপ্তর ৩০ বছর বয়সি দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়;
- তুর্কি নাগরিকটি কার্লসরুহের সাংবিধানিক আদালতে আপিল করে জানান, তুর্কি কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপের দায়ে একটি দায়রা মামলা দায়ের করেছেন;
- অপরাধীর যুক্তি হলো, তুরস্কে পাঠানো হলে, অন্যান্য সন্ত্রাসীর মতো তাকেও শারীরিক নিপীড়নের শিকার হতে হবে৷এই যুক্তির সমর্থনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি চিঠি পেশ করা হয়, যে চিঠিতে অ্যামনেস্টি তুরস্কে ঐ ধরণের নিপীড়ন সংক্রান্ত একাধিক দাবি উত্থাপন করেছে৷
তুরস্কে কি বন্দিদের শারীরিক নিপীড়নের আশঙ্কা আছে? ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পরে তুরস্কে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে শত শত সাংবাদিক, শিক্ষক ও বিচারককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ সে বছর অ্যামনেস্টি জানায় যে, সংগঠনটি ‘বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্যপ্রমাণ' সংগ্রহ করেছে যে, ‘‘তুরস্কে বন্দিদের মারধর ও শারীরিক নিপীড়ন, এমনকি ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে৷''
এর পরে কি ঘটতে চলেছে? সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের পর জার্মান কর্তৃপক্ষকে বহিষ্কার কার্যকরি করতে আরো বেশি বেগ পেতে হবে৷ প্রত্যাশা করা হবে যে, কর্তৃপক্ষের কাছে বহিষ্কার সাপেক্ষ ব্যক্তির দেশের তরফ থেকে অত্যাচার বা শারীরিক নিপীড়ন না ঘটার পর্যাপ্ত আশ্বাস আছে৷
এসি/এসিবি (ডিপিএ, এআরডি)