1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিরে এলো ভাস্কর্য!

২৯ মে ২০১৭

ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের সামনে থেকে অপসারণ করা ন্যায়বিচারের ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টেরই বর্ধিত ভবন অ্যানেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়েছে৷ শনিবার রাতে ভাস্কর্যটি আবারো দাঁড়িয়ে যাওয়ায় নাখোশ হেফাজতে ইসলাম৷

https://p.dw.com/p/2djKT
Bangladesch Justitia-Skulptur wieder aufgestellt
সুপ্রিম কোর্টের বর্ধিত ভবন অ্যানেক্স ভবনের সামনে ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপন করা হয়েছেছবি: Getty Images/AFP

গত বছরের শেষের দিকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে ন্যায়বিচারের প্রতীক ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হলে তার বিরোধিতা শুরু করে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি সংগঠন৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাদের সেই বিরোধিতাকে কার্যত সমর্থন করে ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার পক্ষে মতামত দেন৷ ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলো ভাস্কর্যটিকে ‘গ্রিকদেবীর মূর্তি’ হিসেবে বিবেচনা করে এটিকে ‘অনৈসলামিক’ আখ্যা দেয়, যদিও ভাস্কর মৃণাল হক জানান যে, একহাতে তলোয়ার ও অন্যহাতে দাড়িপাল্লা ধরা শাড়ি পরা ভাস্কর্যটি তিনি বাঙালি নারীর আদলে তৈরি করেছেন৷

ভাস্কর্যটি নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে এটি হঠাৎ করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনের সামনে থেকে সরিয়ে ফেলা হয়৷ ভাস্কর্য সরানোর তীব্র প্রতিবাদ করেন বাংলাদেশের মুক্তমনা এবং ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠীগুলো৷ সুশীল সমাজের একাংশ ইসলামপন্থিদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন৷ তাঁরা আরো দাবি করেন যে, হাসিনা সরকার আগামী বছরের নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের ভোট পেতে এটা করেছে৷

অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম ‘মূর্তি’ সরিয়ে ফেলায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান, যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দাবি করেন যে, সরকার নয়, বরং সুপ্রিম কোর্টই এটি সরিয়ে ফেলেছে৷ তবে হেফাজতের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, কেননা, শনিবার রাতে ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টেরই আরেকাংশ অ্যানেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়েছে৷ এই পুনঃস্থাপনে নাখোশ হয়ে হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী বলেছেন যে, ‘‘জাতির ধর্মীয় বিশ্বাস ও আবেগের সাথে তামাশা’ করা হয়েছে৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘ভাস্কর্য অপসারণ নিয়ে ‘মধ্যপন্থার’ কোনো সুযোগ নেই, বরং এটিকে চিরতরে দেশ থেকে অপসারণ করতে হবে৷’’ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একথা বলেন তিনি৷

এদিকে, ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে মৃণাল হক জানিয়েছেন, তাঁকে ভাস্কর্যটি সরাতে বলা হয়েছে৷ ‘‘এখন সেটিকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে সুপ্রিম কোর্টের পেছনে স্থাপন করা হয়েছে,’’ বলেন তিনি৷

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ হলেও গত কয়েকবছর ধরে উগ্রপন্থি ইসলামিস্টদের প্রভাব বাড়ছে৷ গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন ব্লগার, বিদেশি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ উগপ্রন্থিদের হাতে নিহত হয়েছেন৷ আল-কায়দা এবং ‘ইসলামিক স্টেটের’ মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশে নিজেদের অবস্থান বাড়ানোর কথা বলেছে, যদিও সরকার মনে করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর কোনো অস্তিত্ব সে দেশে নেই৷

এআই/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...