1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পতিতা বিপত্তিতে বার্লিনের স্কুল

২৬ আগস্ট ২০১৭

জার্মানিতে নির্মাণকাজ বেড়েছে৷ ফলে নিজেদের বাসস্থান ও কাজের জায়গা হারিয়ে পতিতারা নেমেছেন রাস্তায়, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঢুকে পড়ছেন স্কুলের সীমানাতেও৷ বার্লিনের এমন একটি স্কুল পতিতা ঠেকাতে নির্মাণ করেছে সীমানাপ্রাচীর৷

https://p.dw.com/p/2ioRf
ছবি: picture-alliance/R. Kremming

বার্লিনের ফ্রানৎসোজিশেস গিমনাজিউম নামের হাইস্কুলটির এই দেয়াল ১.৮ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) উঁচু বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম৷ স্কুলটি কুরফ্যুরস্টেনস্ট্রাসের পাশেই অবস্থিত৷ বার্লিনবাসীর চলাচলে অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও পতিতাবৃত্তির অন্যতম স্থান এই সড়ক৷

সারা দিন জুড়েই এই রাস্তায় গ্রাহকদের সাথে দরকষাকষিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় পতিতাদের৷ আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ বেড়ে যাওয়ায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না পতিতাদের৷ ফলে আশেপাশের রাস্তা, এমনকি পাশের স্কুলেও সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা৷ স্কুলের এলাকার মধ্যেই এখন পড়ে থাকতে দেখা যায় মাদকগ্রহণে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও কনডম৷

বার্লিনার সাইটুংকে স্কুল পরিদর্শক কারস্টেন স্পালেক জানান, ‘‘আমাদের কাছে অনেকবারই অভিযোগ এসেছে যে স্কুল চত্ত্বরে দিনের বেলাতেও নানা ধরনের মানুষের ঘোরাফেরা বেড়েছে, যাদের মধ্যে আছেন পতিতারাও৷''

Germany: Male refugees turning to prostitution in Berlin

এই অবস্থা থেকে বাঁচতে স্কুল চত্ত্বরের চারপাশে একটা দেয়াল তুলতে বাধ্য হয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ৷ এজন্য ৫৭ হাজার ইউরো (প্রায় ৫১ লাখ টাকা) খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেড এবং বিল্ড নামের দু'টি সংবাদপত্র৷

‘‘পতিতারা এখানেই খায়, এখানেই দাঁড়িয়ে থাকে, ময়লা জিনিসপত্রও এখানেই ফেলে যায়৷ এমনকি তাদের পরিষ্কার হওয়ার জায়গা না থাকায় এখানেই তারা নিজেদের পরিষ্কারও করে'', বার্লিনার সাইটুংকে বলছিলেন শহর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ক মিশায়েল ক্লিনের্ট৷

তিনি জানান, প্রায় প্রতিদিন সকালের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভ্যানে করে ঠিক স্কুলের সামনে এনেই নামিয়ে দেয়া হয়৷ এই এলাকার অন্যান্য অনেক স্কুলও একই ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছে৷

১২৫ মিটার দীর্ঘ এই সীমানাপ্রাচীরকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷

জার্মানিতে পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ নয়৷ ২০০২ সালের পতিতাবৃত্তি আইন অনুযায়ী তাদের অধিকার আরো সুরক্ষিত করা হয়৷ এই আইন অনুযায়ী দালালদের হাত থেকে সুরক্ষা, কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করা, পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা, পাচার বন্ধ করা এবং পতিতাবৃত্তি ছেড়ে দেয়াসহ নানা ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন যৌনবৃত্তিতে নিয়োজিত নারীরা৷

বেশিরভাগ যৌনকর্মীই পতিতালয়ে কাজ করলেও রুম ভাড়া বেশি হওয়ায় কেউ কেউ রাস্তাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷ বেশিরভাগ শহরে নির্দিষ্ট এলাকায় পতিতাদের সীমাবদ্ধ করে দিলেও, বার্লিনে এমন কোনো এলাকা নেই৷

তবে ২০১৬ সালে জার্মানির পার্লামেন্ট যৌন দাসত্ব দূর করার লক্ষ্যে নতুন আইন পাশ করে৷ এই আইনে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়৷ এই আইনে অনলাইন থেকে শুরু করে সব ধরনের মাধ্যমে কাজ করা যৌনকর্মীদের কর্তৃপক্ষের কাছে নাম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়৷ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং কনডম ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করা হয় এই আইনে৷ নতুন এই আইন কার্যকর হয়েছে এ বছরের জুলাই থেকে৷

আলিস্টেয়ার ভালশ/এডিকে/এসিবি

প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো? মন্তব্য করুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য